কলকাতা: গাংনাপুর ধর্ষণ কাণ্ডে ৯০ দিনের আগে চার্জশিট পেশের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি শম্পা সরকার। ওই ঘটনার পর আপাতত ৮৬ দিন কেটে গিয়েছে। তবে রাজ্য জানিয়েছে ঘটনার তদন্ত শেষ হয়ে গিয়েছে। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছিল তাদের সকলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মোট ৬ জন গ্রেফতার হয়েছে। তারা সকলে হেফাজতে রয়েছে। এছাড়াও এই ঘটনায় ৭০ জন সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- ‘বিজেপি থেকে ঘরওয়াপাসি করা নেতারা সুবিধাভোগী-ধান্দাবাজ’! ফের বিস্ফোরক মনোরঞ্জন
গত ৬ মার্চ নদিয়ার গাংনাপুরে বাড়িতে ঢুকে এক বধূকে ধর্ষণ করা হয়। ধর্ষণের পরে জোর করে কীটনাশক খাইয়ে তাঁকে খুনের চেষ্টা করা হয় বলেও অভিযোগ। ১৪ মার্চ কল্যাণীর সরকারি হাসপাতালে মৃত্যু হয় ওই নির্যাতিতার। এই ঘটনায় আইপিএস অফিসার দময়ন্তী সেনকে দায়িত্ব দেওয়ার আবেদন জানিয়ে মামলা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। পরিবারের তরফে সেই দাবি তোলা হয়। কিন্তু রাজ্য ঘটনার তদন্ত নিয়ে ইতিবাচক বক্তব্য রেখেছে। জানা গিয়েছিল, এই গণধর্ষণকাণ্ডে ধৃতরা হলেন আতিয়ার মণ্ডল, সরাফিল মণ্ডল, সইফুল দপ্তরী, হাতেম মণ্ডল, মইরুদ্দি মণ্ডল ও মণিরুল মণ্ডল। পাশাপাশি মাঝেরগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য মতিয়ার রহমান মণ্ডলের নাম সামনে আসে।