Aajbikel

জমা জলে ডুবে মৃত্যু ব্যক্তির! পুলিশি রিপোর্টে অসন্তুষ্ট হাইকোর্ট, সিআইডি তদন্তের নির্দেশ

তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক ও যিনি ময়নাতদন্ত করেছিলেন, তাঁকে জেরা করে সিআইডিকে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করতেও নির্দেশ
 | 
হাইকোর্ট

কলকাতা: এক ব্যক্তির রহস্য মৃত্যুর ঘটনার রিপোর্টে সন্তুষ্ট নয় কলকাতা হাইকোর্ট। তাই সেই ঘটনার তদন্তে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হল। হুগলির খানাকুল থানা যে রিপোর্ট দিয়েছিল তা সন্তুষ্ট করতে পারেনি আদালতকে। সেই রিপোর্ট খারিজ করে ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

আরও পড়ুন- বাজেট পেশের দিনই বিধানসভায় 'ভুয়ো' বিধায়ক!

আসলে ধানের জমিতে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ ছিল খুনের। কিন্তু হুগলির খানাকুল থানা রিপোর্ট দিয়ে দাবি করেছিল যে, ধান খেতের জমা জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ওই খেতের ছয় ইঞ্চি জমা জলে কী ভাবে মৃত্যু হতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। শেষে সিআইডিকে তদন্তভার দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই ঘটনায় মামলাকারী সৌরিয়া বেগমের অভিযোগ ছিল, ২০২১ সালের ১৪ অক্টোবর তাঁর স্বামী হারুন অল রশিদকে ডেকে নিয়ে যায় মইদুল ইসলাম, শেখ সাবির আলি, শেখ সাবির , শেখ সাবির ও নুরেল ইসলাম নামে পাঁচ ব্যক্তি। সেদিন রাত্রে স্বামী আর বাড়ি ফেরেননি। পরদিন এলাকায় খবর নিয়েও স্বামীর কোনও খোঁজ পাননি তিনি। পরে খানাকুল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। এরপর ১৬ তারিখ সকালে এক ব্যক্তির ধান জমিতে হারুনের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। 

ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ময়না তদন্তের রিপোর্টে দেখার পর পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনাবশত জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে হারুনের। যদিও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ ছিল, জলে ডুবে যাওয়ার কারণে দেহে পুরোপুরি পচন ধরে গিয়েছিল। কিন্তু সৌরিয়া বেগমের অভিযোগ, দেহ উদ্ধারের সময় তাতে একাধিক আঘাতের চিহ্ন ছিল। তার স্বামীকে খুন করা হয়েছে বলেই দাবি তার। এদিকে আবার তার অভিযোগের নিশানা মইদুল ইসলামের দিকে। কিন্তু কেন? মৃতের স্ত্রীর দাবি, আমফান ত্রাণের অর্থ তছরুপ করেছিল মইদুল। সেই কথা জানতে পারেন তার স্বামী। সে কারণে তাঁকে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তাই 
পুলিশি তদন্তে সন্তুষ্ট না হতে পেরে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন সাউরিয়া বেগম।

আরও পড়ুন- মমতার কাছে শিশুর নামকরণের আবদার নিয়ে হাজির মা, অভিনব নাম দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলার শুনানিতে তাঁর আইনজীবী নিলাদ্রী শেখর ঘোষ ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সম্পর্কে বলেন, ময়না তদন্ত শেষ করতে অন্তত ৪ থেকে ৫ ঘন্টা সময় লাগার কথা। কিন্তু এক্ষেত্রে মাত্র ১৫ মিনিটে গোটা প্রক্রিয়া শেষ করা হয়েছে। এছাড়াও মাথায় আঘাত থাকলে তাতে পচন ধরতে সময় ৩ থেকে ৪ দিন সময় লাগার কথা। আঘাত না থাকলে ৫ থেকে ৬ দিনে পচন ধরার কথা। এক্ষেত্রে মাথায় আঘাত না থাকলেও চিকিৎসকের মত অনুযায়ী ২৪ ঘণ্টাতেই দেহ পচে গিয়েছে। তদন্তে গাফিলতির সন্দেহ প্রকাশ হতেই এই ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি মান্তা। নির্দেশ, প্রয়োজনে দেহ কবর থেকে তুলে তদন্ত করবে সিআইডি। 

Around The Web

Trending News

You May like