কলকাতা: নদিয়ার গাংনাপুরে কোনও গণধর্ষণ হয়নি। ২৪ ঘন্টার মধ্যে মেডিক্যাল পরীক্ষা করা হয়েছে। ময়নাতদন্তে রিপোর্টে উল্লেখ যে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয়েছে। নির্যাতিতাকে বনগাঁ থেকে বারাসত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ৭ মার্চ থেকে ১৪ মার্চ কল্যাণী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল সে। ওখানেই মৃত্যু হয় তার। কোনও হাসপাতালের রিপোর্টে গণধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ নেই। আদালতে রিপোর্ট জমা দিয়ে এমনটাই জানালেন সরকারি আইনজীবী।
আরও পড়ুন- ঘোষণাই সার, ট্রেনে বেডরোল কোথায়? বিশেষ নিয়ম ভারতীয় রেলে
এদিকে যে ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিল নির্যাতিতার পরিবার, তাদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে। কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করার পর পুলিশ অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে। যদিও যে অভিযোগের প্রেক্ষিতে গ্রেফতার করেছে পুলিশ সেখানে নির্যাতিতার পরিবারের সই ছিল না বলেই জানান হয়েছে। তবে অভিযোগ উঠছে পুলিশ কোনও ভাবেই সহযোগিতা করেনি নির্যাতিতার পরিবারকে। এমনকি তাদের কাছে অভিযোগ জানানোর এক মাস বাদে হাইকোর্ট মামলা নেওয়ার পর অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
তবে গাংনাপুর ঘটনায় ইতিমধ্যেই ১৯ জনের সাক্ষী নেওয়া হয়েছে। ৬ জনের থেকে পুলিশ ১৬১ বার জবানবন্দি নিয়েছে। জানান হয়েছে, কেউ বলেননি এটা গণধর্ষণ। সরকারি আইনজীবীর এমনই বক্তব্য। যদিও আদালত নদীয়া গাংনাপুর গণধর্ষণ মামলায় দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। পাশাপাশি প্রথম ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আদালতে জমা দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার। বলা হয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে ধোঁয়াশা রয়েছে।