কলকাতা: কোনও জমিদাতা জমি দেওয়ার পর ক্ষতিপূরণ পাওয়ার জন্য সরকারি দফতরে বারংবার দরবার করবেন তা হতে পারেন না। যেহেতু জনস্বার্থে জমি অধিগ্রহণ হচ্ছে তাই সরকারের দায়িত্ব জমিদাতার ন্যায্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা। এমনটাই পর্যবেক্ষণ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্য্যের। উত্তরবঙ্গে জাতীয় সড়কের জন্য জমি অধিগ্রহণে যথাযথ ক্ষতিপূরণ না পাওয়ার অভিযোগের মামলায় এদিন আদালত এক গুচ্ছ নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন- অধিকাংশ জেলায় পজিটিভিটি রেট ১০ শতাংশের ওপর! বাংলা নিয়ে অন্য চিন্তা
আদালত সোমবার জানিয়েছে, মামলাকারীদের জমি নেওয়ার জন্য কী কী ভাবে ক্ষতিপূরণ নির্ধারণ হয়েছে, সেই হিসেবের নথি এক সপ্তাহের মধ্যে প্রশাসনকে জমা দিতে হবে। সেই নথি খতিয়ে দেখার পর আপত্তি জানাতে নতুন করে মধ্যস্থতার জন্য ডিভিশনাল কমিশনারের কাছে আবেদন করবেন মামলাকারীরা। তার পরের ছ’মাসের মধ্যে ওই আবেদনের মীমাংসা করতে হবে এবং ২০১৩ সালের কেন্দ্রের নতুন জমি অধিগ্রহণ আইন মেনে ক্ষতিপূরণের অঙ্ক নির্ধারণ করতে হবে। এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
মামলাকারিদের আইনজীবী বলেন, কয়েকদিন আগে তথ্যের অধিকার আইনে রাজ্য জানিয়েছিল, এই রাজ্যে জমি অধিগ্রহণে কেন্দ্রের নতুন আইন কার্যকর করা হয়ন। । তবে জাতীয় সড়কের জন্য অধিগ্রহণে ওই আইন মেনে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা জানানো হয়েছিল। এবার হাইকোর্টও নতুন আইনে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়ায় রাজ্যের বহু এলাকায় জমিদাতারা উপকৃত হবেন, এমনটাই আশা। উল্লেখ্য, আলিপুরদুয়ারের চ্যাংপাড়া মৌজার তপন দত্ত, সুশীল রায় ও কবিচন রায়ের দায়ের করা মামলায় জলপাইগুড়িতে কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ এদিন এই মামলার শুনানি হয়।