কলকাতা: বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার এজলাসে আজ শুরু হয় পুরুলিয়া ঝালদা পুরসভার কাউন্সিলর তপন কান্দুর খুনের ঘটনার মামলা। সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়েছেন তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু, এমনই জানান তাঁদের আইনজীবী। একই সঙ্গে আইনজীবীর বক্তব্য, আনিস খানের ঘটনার সঙ্গে তপন কান্দি খুনের ঘটনায় হুবহু মিল রয়েছে। খুনের মোটিভ খুব স্পষ্ট। কারণ তৃণমূল এবং কংগ্রেসের আসন সমান সমান ছিল সেখানে। তিনি রাজনৈতিক ভাবেই খুন হয়েছেন। পুলিশের মদতে আততায়ী তাঁকে খুন করেছে। স্থানীয় থানার এসআই এই ঘটনায় সরাসরি যুক্ত। যে কারণে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি।
আরও পড়ুন- তোলাবাজির কারণেই রামপুরহাট কাণ্ড, বিস্ফোরক দাবি বিজেপি সাংসদের
এদিন আরও জানান হয়েছে, জাতীয় কংগ্রেসের নব নির্বাচিত কাউন্সিলর তপন কান্দুকে মাঝে মধ্যেই হুমকি দেওয়া হত। এছাড়া প্রশ্ন তোলা হয়েছে, পুলিশের সামনে গুলি করা হয়েছিল কিন্তু কেন পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছতে দেরি করল? ঝালদা পুলিশ স্টেশন এবং জেলা পুলিশ সুপারের কাছেও অভিযোগ করে ছিলেন তাঁর স্ত্রী, কিন্তু লাভ হয়নি। পাশাপাশি তাঁকে বার বার তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার চাপ দেওয়া হচ্ছিল বলে দাবি। গোটা বিষয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ স্পষ্ট যে, ঝালদা পুলিশ সব জেনেও কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। আগামী শুক্রবার মামলার পরবর্তী শুনানি। তপন কান্দুর পরিবারকে সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন পুরুলিয়া পুলিশ সুপার, এমনই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তপন কান্দু খুনের ঘটনায় কেস ডায়েরি তলব বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার। শুক্রবারের মধ্যেই তপন কান্দু খুনের মামলায় কেস ডায়েরি জামা দিতে হবে।