কলকাতা: করোনা আবহে গঙ্গাসাগর মেলায় সম্মতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এবার মেলা নিয়ে দুই সদস্যের নতুন কমিটি গড়ল উচ্চ আদালত। এই কমিটির দুই চেয়ারপার্সন হলেন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় এবং রাজ্য লিগ্যাল সার্ভিস অথরিটির সদস্য সচিব। মেলা সংক্রান্ত বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দুই সদ্যের এই কমিটি নেবে।
আরও পড়ুন- আজব শখ! ইংরেজিতে স্নাতক হয়েও সিঁধেল সৌমাল্য
করোনা পরিস্থিতিতে হাই কোর্টের সাফ নির্দেশ, টিকার দুটি ডোজ সম্পন্ন হলে এবং তার শংসাপত্র থাকলে তবেই সাগরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। আগত পুণ্যার্থীরা টিকার দু’টি ডোজ নিয়েছেন কি না, তা নিশ্চত করার দায়িত্ব বর্তাবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দফতরের মুখ্যসচিবের উপরে৷ মেলা সংক্রান্ত নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, মেলায় যাওয়ার ৭২ ঘণ্টা আগে আরটিপিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে তবেই সাগরে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে। এই সকল শর্তগুলি যথাযথ ভাবে মানা হচ্ছে কি না, সেদিকে নজর রাখবে এই কমিটি।
একই সঙ্গে আদালত তার রায়ে জানিয়েছে, গোটা সাগর দ্বীপকে ‘নোটিফাইড’ জোন হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। হাই কোর্টের দেওয়া শর্তগুলি সঠিক ভাবে পালন করা হচ্ছে কি না, তা নিশ্চিত করবেন মুখ্যসচিব। রাজ্যে করোনা স্ফীতির মধ্যে এ বছর গঙ্গাসাগর মেলা বন্ধ রাখাপ পক্ষে সওয়াল করে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেছিলেন চিকিৎসক অভিনন্দন মণ্ডল। এছাড়াও মেলা বন্ধ নিয়ে আরও পাঁচটি মামলা হয়েছে। সবকটি মামলা একত্র করে হাই কোর্টে শুনানি হয়। তাতে বলা হয়, গঙ্গাসাগর মেলার কমিটিতে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে রাখা হয়েছে৷ কিন্তু, কোনও চিকিৎসককে রাখা হয়নি। ফলে এই কমিটির পক্ষে মেলা নিয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব নয়৷ এর পরই হাই কোর্ট গঙ্গাসাগর মেলা নিয়ে নতুন করে দুই সদস্যের কমিটি গড়ে দিল আজ।