পর্ষদকে আরও নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, ইন্টারভিউ নিয়ে পদক্ষেপ করতে হবে

পর্ষদকে আরও নির্দেশ বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের, ইন্টারভিউ নিয়ে পদক্ষেপ করতে হবে

কলকাতা: প্রশ্ন ভুল মামলার শুনানিতে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে আগেই ভর্ৎসনা করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বিচারপতি নির্দেশ দিয়েছিলেন যে, বয়স বাড়লেও ইন্টারভিউয়ে ডাকতে হবে চাকরিপ্রার্থীদের। এবার অন্য নির্দেশ এল। কত জনকে ৬ নম্বর দেওয়া হয়েছিল, কত জনকে দেওয়া সম্ভব, তা আগামী ৪ নভেম্বর পর্ষদকে জানাতে হবে।

আরও পড়ুন- আদালতে ঢোকার পথে মেজাজ হারালেন পার্থ, আঙুল উঁচিয়ে বললেন ‘চুপ করে থাকুন’,

এর আগে বিচারপতির নির্দেশ ছিল, দুর্নীতির জন্য যদি পরীক্ষার্থীর বয়স পেরিয়ে গিয়ে থাকে, তবে তার দায় নিতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকেই। ভুল প্রশ্ন থেকে পাওয়া নম্বরে উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও যাঁরা বয়স পেরিয়ে যাওয়ায় ইন্টারভিউয়ে বসতে পারেননি, তাঁদের অভিযোগ খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করতে হবে। এমনই নির্দেশ এসেছে। একজন চাকরিপ্রার্থীর করা মামলার শুনানিতে জানান হয়, আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে ওই চাকরিপ্রার্থী যাতে পরীক্ষায় বসতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। এই প্রেক্ষিতেই বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মন্তব্য, মেধাবী চাকরিপ্রার্থীরা লড়াই করে যাচ্ছে আর অযোগ্য অকৃতকার্যরা চাকরি করে যাচ্ছে। দুর্নীতিগ্রস্ত প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ।

এছাড়া এদিন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় কলকাতা হাইকোর্টে ১১ নম্বর কোটরুমের পাশের সিঁড়ির ইতিহাস নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। কলকাতা হাইকোর্টে যে ভুতের উৎপাত রয়েছে রয়েছে তা নিয়ে আইনজীবীদের সঙ্গে বহু পুরনো গল্প ভাগ করে নেন। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, একদিন রাতে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায়র কাছে হাইকোর্টের একজন পুলিশ কর্মী এসে জানান তাকে পেছন থেকে একজন ধাক্কা মারে। এর পরেই ১১ নম্বর কোর্টের পাশে সিঁড়ির পথ রাত হলেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুধু তাই নয় সেখানে পুলিশকর্মীর সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

four × two =