কলকাতা: গ্রুপ-ডি নিয়োগ দুর্নীতির মামলায় এসএসসি’কে চূড়ান্ত সময়সীমা বেঁধে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মঙ্গলবার নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত একটি মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে। সেই শুনানিতে বিচারপতি জানান, গাজিয়াবাদ থেকে পরীক্ষার্থীদের যে উত্তরপত্র উদ্ধার হয়েছে তা আগামী ৩১ জানুয়ারির মধ্যেই প্রকাশ করতে হবে। বিচারপতির বক্তব্য, ইয়ার্কি হচ্ছে নাকি! পড়ুয়াদের কথা না ভেবে কে টাকা দিয়ে চাকরি দিয়েছে তা জানাতেই হবে। সেই প্রেক্ষিতেই এই ৭ দিনের ‘ডেডলাইন’।
আরও পড়ুন- ২ লক্ষ ২৯ হাজার কোটি নয়ছয়ের অভিযোগ রাজ্যের বিরুদ্ধে, মামলায় যুক্ত হবে CAG
গাজিয়াবাদ থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের অন্তত ৪ হাজার ৪৮৭ টি উত্তরপত্র বা ওএমআর সিট উদ্ধার হয়েছিল। সেই উত্তরপত্রই এসএসসির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি বসু। এছাড়া এসএসসির আইনজীবীর কাছে তিনি জানতে চেয়েছেন ১ হাজার ৬৯৪ জনের ওএমআর সিট আপলোড করা হয়েছে কিনা। বিচারপতি আরও বলেন, স্কুল কোনও ভাবেই যাতে অচল না হয়ে পড়ে তা নিশ্চিৎ করতে হবে। কারণ শিশুদের ভবিষ্যতের প্রশ্ন। এই প্রেক্ষিতেই তাঁর বক্তব্য, তেমন হলে নতুন নিয়োগ হোক।
এক্ষেত্রে এসএসসির কাছে নতুন নিয়োগ নিয়ে প্রস্তুতির কথাও জানতে চেয়েছেন বিচারপতি। তাঁর প্রশ্ন, যাঁরা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের সরিয়ে দ্রুত নিয়োগের জন্য কতটা প্রস্তুত তারা? বিচারপতি বলেছেন, বৃহত্তর ষড়যন্ত্র হয়েছে। যে বা যাঁরা বেআইনি ভাবে ০ থেকে ৪৩ পেয়ে চাকরি পেয়েছেন, সেই সমস্ত ছাত্র ছাত্রীদের ভবিষ্যত কি হবে যারা তাদের দ্বারা শিক্ষিত হয়েছে, উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।