কলকাতা: প্রাথমিক টেট প্রশ্ন ভুল মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট তুলোধোনা করল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে। সেই প্রেক্ষিতেই প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সভাপতিকে জরিমানা করা হয়েছে। সভাপতিকে ব্যক্তিগত ভাবে জরিমানার টাকা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন- হিন্দুদের রক্ত লেগে মমতার হাতে! ‘দুর্গা প্রতিমা’ তৈরিতে ক্ষুব্ধ অমিত
গত ২৩ ডিসেম্বর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানায়, টেটর ভিত্তিতে ১৬ হাজার ৫০০ শূন্যপদে নিয়োগ করা হবে। নির্দেশিকা অনুযায়ী, ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণরা আবেদন করতে পারবেন। এরপরই ১৯ জন চাকরি প্রার্থী এই নির্দেশিকাকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে যান। তাঁদের দাবি ছিল যে, ২০১৪ সালের টেট প্রশ্নপত্রে ছ’টি ভুল প্রশ্ন করা হয়েছিল। এই মামলাতেই আজ বলা হয় যে, ৬ টি প্রশ্ন ভুলের ভুল ব্যাখা করেছে বোর্ড। পরীক্ষার্থীদের আদালতমুখি করেছে তারাই। এই প্রেক্ষিতেই ১৯ মামলাকারীকে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৩ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, ৭ দিনের মধ্যে ফুল মার্কস দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আদালত আরও জানিয়েছে, মার্কস দেওযার পর ৭ দিনের মধ্যে নিয়োগে বিবেচনা করতে হবে, চাকরিও দিতে হবে ৭ দিনের মধ্যে। এমনই নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের।
আরও পড়ুন- ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে রাজ্যের গঠিত SIT-এর মাথায় মঞ্জুলা চেল্লুর
ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই ২০১৮ সালে বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় বিশ্বভারতীর বিশেষজ্ঞকে দিয়ে সেই ৬ টি প্রশ্ন সঠিক কিনা তা যাচাই করেন। বিশ্বভারতী জানায়, ৬ টি প্রশ্নই ভুল ছিল। সে সময় বিচারপতি সমাপ্তি চট্টোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, যাঁরা যাঁরা প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন তাদেরই পুরো নম্বর দিতে হবে। কিন্তু তখন সেই মত নির্দেশ পালন করা হয়নি। তাই আজ আরও ক্ষুব্ধ হয় আদালত।