Aajbikel

মাদক মামলায় তথ্য অসম্পূর্ণ, তাও গ্রেফতারি! পুলিশি তদন্তে ক্ষুব্ধ আদালত

 | 
হাইকোর্ট

কলকাতা: নিষিদ্ধ মাদক রাখার অভিযোগে গ্রেফতারি অথচ সেই মাদক আদতে নিষিদ্ধ কিনা তাই জানে না পুলিশ! কার্যত এমনই পরিস্থিতি তাই এতে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। এই কারণে বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চ নির্দিষ্ট থানার আইসি ও তদন্তকারী অফিসারকে তলব করেছিল। এদিন এই মামলার শুনানিতে অবশ্য অন্য কথাই বলেছে পুলিশ। 

আরও পড়ুন- ২৬/১১ হামলাকারীরা অবাধে ঘুরে বেড়ায়, পাকিস্তানে বসেই 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক' জাভেদের

মূল বিষয় হল, নিষিদ্ধ মাদক রাখার অভিযোগে গ্রেফতারের পর তিন বছর জেল খাটছে অভিযুক্ত। কিন্তু জানা গিয়েছে, এই মাদক যে আদতে নিষিদ্ধ তার কেমিক্যাল রিপোর্টই জমা পড়েনি নিম্ন আদালতে। অথচ নিষিদ্ধ মাদক রাখার অভিযোগে ধৃত হুমায়ন শেখের বিরুদ্ধে মুর্শিদাবাদের কান্দি থানা দু'বছর আগে চার্জশিট দিয়েছে। তার উপর ভিত্তি করে চার্জ ফ্রেম করে ট্রায়ালও শুরু হয়ে গিয়েছে। আজ ধৃতের জামিনের মামলায় বিষয়টি সামনে আসে। আর এই কেমিক্যাল রিপোর্টের তথ্য পেয়েই কলকাতা হাইকোর্ট কান্দি থানার আইসি ও তদন্তকারী অফিসারকে তলব করেছিল।

 

এদিন মামলার শুনানিতে ধৃতের আইনজীবী সোমনাথ অধিকারী আদালতে জানান, পুলিশ একেবারে বেআইনিভাবে তার মক্কেলকে গ্রেফতার করেছে। এদিকে, ওই অফিসাররা আদালতে জানান, কেমিক্যাল রিপোর্ট নিম্ন আদালতে পি পি অফিসে জমা দেওয়া হলেও তা অন্যান্য ফাইলের নিচে চাপা পরে গিয়েছিল। হাইকোর্ট তাদের তলব করার পরে ১৩ ফেব্রুয়ারি ওই রিপোর্ট ফের পুলিশ জমা দেয় নিম্ন আদালতে। যদিও পুলিশের এমন আচরণে ক্ষুব্ধ আদালত। তাই তদন্তকারী অফিসার ও আইসি'র বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এসপিকে। আদালতের নির্দেশ, কী কী পদক্ষেপ তাদের বিরুদ্ধে করা হয়েছে তা চার সপ্তাহ পরে রিপোর্ট দিয়ে জানতে হবে। অন্যদিকে, এদিন ধৃতকে জামিন দিয়েছে হাইকোর্ট।

Around The Web

Trending News

You May like