কলকাতা: হাঁসখালিতে যে ঘটনা ঘটেছে তাতে ইতিমধ্যেই বিরাট উত্তাপ ছড়িয়েছে রাজ্যজুড়ে। বিজেপি সহ বিরোধীরা এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। শাসক দলের বিরুদ্ধে পরপর উঠছে অভিযোগের আঙুল। রাজনৈতিক তরজার মাঝেই এবার হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ডে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন আইনজীবী সুস্মিতা সাহা দত্ত। মামলাটির দ্রুত শুনানির জন্য আর্জি জানানো হয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, আগামীকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার এই মামলার শুনানি হতে চলেছে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে।
আরও পড়ুন: নাবালিকাকে ধর্ষণ তৃণমূল নেতার ছেলের! রাতভর রক্তক্ষরণে মৃত্যু! শ্মশানে গিয়ে তথ্য লোপাটের চেষ্টা
রাতভর জেরার পর অবশেষে গ্রেফতার করা হয়েছে নির্যাতিতা ওই কিশোরীর প্রেমিক তথা তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলে সোহেলকে। এছাড়া তার দু’জন বন্ধুকেও গ্রেফতার করেছে পুলিশ বলে জানা গিয়েছে। কে বা কারা সেদিন সোহেলের জন্মদিনের পার্টিতে ছিল, পার্টি শেষে কে নির্যাতিতাকে তার বাড়িতে পৌঁছে দিল, এখন এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ব্যস্ত পুলিশ। তব এরই মধ্যে আটক তৃণমূল নেতার ভাগ্নেকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ যা নিয়ে তোলপাড়। তৃণমূল নেতা সমরের ভাগ্নে দিবাকরকে আটক করেও পরে তাঁকে ছেড়ে দেয় পুলিশ। এই ঘটনায় আপাতত হাঁসখালিতে ১২ ঘন্টার বনধ পালন করছে বিজেপি। অন্যদিকে, এই ঘটনায় তৃণমূলের তরফে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি এখনও।
এদিকে বড় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে মৃতদেহ দাহ করা নিয়ে। কী ভাবে মৃত্যুর পরে বৈধ শংসাপত্র ছাড়াই নাবালিকার দেহ দাহ করা হল তা বোঝা সম্ভব হচ্ছে না। তবে এটা স্পষ্ট যে, ডাক্তারের দেওয়া ‘ডেথ সার্টিফিকেট’ ছাড়া যদি মৃতদেহ সৎকার হয়ে থাকে, তাহলে তার দায় স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের। এক্ষেত্রে দোষের ভাগীদার তাদেরই হতে হবে।