কলকাতা: অবশেষে আড়াল থেকে মুখ খুললেন নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানো ‘রহস্যময় চরিত্র’ হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়৷ অন্তরাল থেকেই এদিন দাবি করলেন, দুর্নীতির সঙ্গে কোনও ভাবে জড়িত নন তিনি৷ কী ভাবে দুর্নীতি হয়, সেই ধারনাটুকুও নেই তাঁর। তবে তাঁর দাবির সত্যটা কতখানি, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে৷
আরও পড়ুন- ২০২৪ সালের জন্য তৃণমূলের ‘একলা চলো’ নীতি, স্পষ্ট করলেন মমতা
তাঁর নাম প্রথম প্রকাশ্যে আনেন নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হুগলির যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষ। আদালত থেকে বেরিয়ে জেলের উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে বলেছিলেন, “খোঁজ নিন। কোন রহস্যময়ীর কাছে টাকা আছে।” এর পরেই হৈমন্তীর নাম মুখে আনেন তিনি৷
কুন্তলের মন্তব্যে রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়৷ খোঁজ করতেই জানা যায়, এই হৈমন্তী হলেন নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের অন্যতম সাক্ষী গোপাল দলপতির দ্বিতীয় স্ত্রী। বাড়ি হাওড়ায়৷ এর পরেই তাঁর বাড়ির সামনে জমতে থাকে ভিড়৷ হৈমন্তীর মা জানান, তাঁর মেয়ে এ সবের সঙ্গে জড়িত নন। মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারছেন না৷ ইতিমধ্যে প্রথমসারির এক সংবাদমাধ্যমকে হৈমন্তী জানান, তিনি সময় মতো সব বলবেন৷
কুন্তলের দাবি ছিল, ওঁর কাছেই সমস্ত টাকা আছে৷ কুন্তল এই চাঞ্চল্যকর দাবি করতেই উধাও হয়ে যান হৈমন্তী৷ তাঁর খোঁজ চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা৷ ইতিমধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে নিজেই এক বন্ধুর মাধ্যমে নেট কলে যোগাযোগ করেন ওই মডেল-অভিনেত্রী। তিনি বলেন, “কেউ একটা আমার নাম বলে দিল। সেটা যাচাই করা হল না? এই কুন্তলকে আমি চিনিই না।” হৈমন্তীর দাবি, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার৷ গোপাল দলপতির সঙ্গে তাঁর কোনও আর্থিক লেনদেন নেই৷ দিল্লিতে বসে একই দাবি করেছিলেন গোপালও৷ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন গোয়েন্দারা৷
কিন্তু এতদিন কেন চুপ ছিলেন তিনি? হৈমন্তী জানান, তিনি অসুস্থ৷ কলকাতার বাইরে আছেন৷ সেখানে বসেই যখন কুন্তলের মুখে নিজের নাম শুনতে পান তখন তাঁর নার্ভ ফেল হয়ে যায়৷ বাড়িতেও যোগাযোগ করতে পারেননি। তবে এখন তিনি অনেকটাই সামলে উঠেছেন৷ তবে এখন তিনি কী করবেন, সে বিষয়ে নিশ্চিত নন৷ তবে তিনি যে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নন, সেটা প্রমাণ করাই তাঁর সবচেয়ে বড় লক্ষ্য৷
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”YouTube video player” width=”560″>