কলকাতা: গত ১০ মার্চ নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘আক্রান্ত’ হন। তিনি নিজে দাবি করেছিলেন যে ঘটনার সময় সেখানে কোন স্থানীয় পুলিশ ছিল না। সঙ্গে সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন উঠে যায়। এই প্রেক্ষিতে রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তা বিবেক সহায়কে অপসারণ করেছিল নির্বাচন কমিশন। এবার ব্রাজ্জের নতুন নিরাপত্তা অধিকর্তা হলেন আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিং।
রাজ্যের সমস্ত ভিআইপি মানুষদের নিরাপত্তা প্রধান দায়িত্বে থাকেন নিরাপত্তা অধিকর্তা। সেই প্রেক্ষিতে নন্দীগ্রামের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রীয় করেছে ঘটনা ঘটেছে তাদের স্বাভাবিক ভাবেই হুলস্থুল পড়ে গিয়েছিল। রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা প্রসঙ্গ তো বটেই, মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়েও একাধিক প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। তাই নির্বাচন কমিশন রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তা বিবেক সহায়কে অপসারণ করে জানিয়েছিল, এদিন দুপুরের মধ্যেই নতুন নিরাপত্তা অধিকর্তা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এই নির্দেশ মতই এদিন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র দফতর নতুন নিরাপত্তা অধিকর্তার নাম জানিয়ে দিল নির্বাচন কমিশনকে। বিবেক সহায়ের জায়গায় আনা হল জ্ঞানবন্ত সিংকে।
আরও পড়ুন- ব্যবহৃত হয়েছেন, সম্মান পাননি! তৃণমূল ত্যাগ দেবশ্রীর
উল্লেখ্য, এর আগে এডিজি আইন-শৃঙ্খলা পদে ছিলেন আইপিএস জ্ঞানবন্ত সিং। যদিও তাকে নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে এর আগে। বিবেক সহায় ও জ্ঞানবন্ত সিং, এই দুই পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ করেছে বিজেপি। অভিযোগ করা হচ্ছিল, এই দুই অফিসার জেলার পুলিশ এবং জেলার একাধিক অফিসার কে নিজেদের মতো করে নানারকম নির্দেশ দিচ্ছেন। তাই এনারা নিজেদের পদে থাকলে নির্বাচন নিরপেক্ষ হবে না। যদিও কিছুদিন আগেই এডিজি আইন-শৃঙ্খলা পদ থেকে জ্ঞানবন্তকে সরিয়ে দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বলরামপুরের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফের একবার দাবি করলেন, তাঁর গাড়ির দরজা ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। অতএব সরাসরি ধাক্কা মারার কথা এড়িয়ে গিয়েও পরোক্ষভাবে যে তিনি আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন অন্যদের দ্বারা, সেটাই বোঝাতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী।