দার্জিলিং: দীর্ঘ তিন বছর অন্তরালে থাকার পর পাহাড়ে ফিরেছেন গোর্খা নেতা বিমল গুরুং৷ বিজেপি’র ছত্রছায়া থেকে বেড়িয়ে এখন তৃণমূলের হাত ধরেছেন তিনি৷ প্রকাশ্যে আসার পর রবিবার পাহাড়ে ছিল ‘ওয়ান্টেড’ গুরুং-এর প্রথম সভা৷ দার্জিলিং চকবাজারের সেই জনসভা থেকে বিজেপি’কে সবক শেখানোর হুঙ্কার দিলেন তিনি৷ দেখালেন নিজের আস্ফালন৷ তাঁর সভাকে কেন্দ্র করে এদিন আমজনতার উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতন৷ গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার গুরুংপন্থী কর্মী-সমর্থকদের ভিড় সামলাতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় পুলিশকে৷ এদিনের সভা থেকে একদিকে যেমন বিজেপি’র বিরুদ্ধে হুঙ্কার ছাড়লেন, তেমনই বিনয় তামাং, অনিত থাপাকে পাহাড় ছাড়ার হুঁশিয়ারিও দিলেন এই গোর্খা নেতা৷
আরও পড়ুন- বনগাঁয় পড়ল ‘বাংলার মীরজাফর’ লেখা শুভেন্দুর ফ্লেক্স, জুতোর মালা পরিয়ে পুড়িয়ে দিল তৃণমূল কর্মীরা
এদিন বিনয় তামাং, অনিত থাপা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন বিমল গুরুং৷ পাহাড় ছাড়ার জন্য মঞ্চ থেকে তাঁদের রীতিমতো হুঁশিয়ারিও দেন৷ সময় বেঁধে দিয়ে তিনি বলেন, ‘‘ আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পাহাড় ছাড়তে হবে বিনয় তামাং ও অনিত থাপাকে৷’’ অন্যদিকে পাহাড়ে রাজনীতির উষ্ণতা ছড়িয়ে পাল্টা পরিবর্তন যাত্রার ডাক দিয়েছে বিনয় তামাং-অনিথ থাপা শিবির৷ সুর চড়িয়ে অনিত থাপা বলেন, ‘‘পাহাড়ের মানুষ কার সঙ্গে আছে ২৬ তারিখে তা প্রমাণ হবে৷ সেদিনই চ্যালেঞ্জ জানানো হবে বিমল গুরুংকে৷’’
আরও পড়ুন- ‘ওসব দিয়ে থুয়ে হয়, আগে থেকে ঠিক করা থাকে’, বাউল বাড়িতে শাহের ভোজন প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া অনুব্রতর
এদিন দর্জিলিং-এর চকবাজারে বিমল গুরুং-এর সভা ঘিরে ছিল সাজো সাজো রব৷ চারিদিকে ত্রিবর্ণ পাতাকা, ব্যান্ড পার্টি, নাচে-গানে উৎসবের আমেজ৷ এদিনের সভা থেকে ফের গোর্খাল্যান্ডের দাবি তোলেন গুরুং৷ ‘উই ওয়ান্ট গোর্খাল্যান্ড’ স্লোগানে কেঁপে ওঠে চকবাজার৷ কিন্তু যার হাত ধরে ফের প্রকাশ্যে রাজনীতির মঞ্চে এসে দাঁড়িয়েছেন বিমল গুরুং, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিন্তু বারবার রাজ্যভাগের বিরোধিতা করে এসেছেন৷ তবুও এবারের ভোটে তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে থাকার বার্তাই দিয়েছেন বিমল গুরুং, রোশন গিরিরা৷ দলের কর্মী–সমর্থকদের বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে জেতানোর জন্য উদ্যোগী হওয়ার ডাকও দিয়েছেন গুরুং৷ সেই সঙ্গে তাঁর হুঙ্কার, ‘বিনয় তামাং, অনিত থাপাদের দিন শেষ’৷