কলকাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে অনবরত সুর চড়িয়ে যাচ্ছে বিজেপি। এরই মধ্যে এবার হিংসার অভিযোগ উঠল তাদের বিরুদ্ধে। আজ বেলঘরিয়ার তৃণমূল কার্যালয়ে গুলি চলেছে এবং যা নিয়ে ফের বঙ্গের রাজনৈতিক উত্তাপ তুঙ্গে। জানা গিয়েছে, এই হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যেই দুইজন গুরুতর আহত হয়েছেন। কামারহাটির তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্র দাবি করেছেন যে বিজেপির মদতে এই হামলা হয়েছে। যদিও বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে এটা তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।
শাসকদল জানাচ্ছে, গতকাল রাতে বেলঘড়িয়ার এক তৃণমূল কার্যালয়ে আশঙ্কায় বাইকে চেপে বেশ কয়েক জন দুষ্কৃতী আসে এবং গুলি চালায়। কার্যালয়ে বসে থাকা তৃণমূল কর্মীদের কার্যত টানতে টানতে বাইরে নিয়ে আসা হয় তারপর তাদের মারধর করা হয় এবং মাথায় বন্দুকের বাট দিয়ে মারা হয় বলে অভিযোগ। পরবর্তী ক্ষেত্রে দুষ্কৃতীরা গুলি চালালে গুরুতর জখম হয় ২ জন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং একটি মোটর বাইক বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। গোটা ঘটনা সম্পর্কে ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্র বিজেপিকে ব্যাপক আক্রমণ করেছেন। তিনি বলছেন, বিজেপি বুঝতে পেরেছে যে তাদের দিন শেষ হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন- তিন সন্তানের মায়ের অ্যাকাউন্টে ঢুকল ‘রূপশ্রী’র টাকা!
মদনের কথায়, উত্তর ২৪ পরগনা থেকে শুরু করে ব্যারাকপুর এবং দমদমে শেষ হয়ে গেছে বিজেপি তাই জন্য এখন টাকা দিয়ে দুষ্কৃতীদের কাজে লাগাচ্ছে! যদিও তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মদন মিত্রের দাবি খারিজ করে দিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ পাল্টা দাবি করেছেন, এই হামলার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে মদন মিত্র ঘনিষ্ঠরা। পরিকল্পিতভাবে হামলা করা হয়েছে এবং এটি তৃণমূলের নিজেদের দ্বন্দ্ব। যদিও এখনো পর্যন্ত স্পষ্টভাবে জানা যায়নি যে এই হামলার পেছনে আদতে কারা জড়িয়ে। এখন গোটা এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।