তিন সন্তানের মায়ের অ্যাকাউন্টে ঢুকল ‘রূপশ্রী’র টাকা!

তিন সন্তানের মায়ের অ্যাকাউন্টে ঢুকল ‘রূপশ্রী’র টাকা!

df2f7b00434dccacbad60d952d94ddf9

কলকাতা: রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়৷ বেনামে টাকা তোলা বা ভুয়ো অ্যাকাউন্টে টাকা ঢোকার নজিরও রয়েছে৷ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই দুর্নীতির কথা স্বীকার করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও৷ আরও একবার হাতে নাতে দুর্নীতির প্রমাণ মিলল৷ ‘রূপশ্রী’ প্রকল্পের টাকা ঢুকল তিন সন্তানের জননীর অ্যাকাউন্টে! এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘিতে৷ 

আরও পড়ুন- ফের বাড়ল ষষ্ঠ পে কমিশনের মেয়াদ, বাড়বে কি বেতন?

বারবার দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পর শক্ত হাতে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিল রাজ্য সরকার৷ কিন্তু সেই সমস্যা যে এখনও পুরোপুরি মেটেনি তা আবারও স্পষ্ট৷ রূপশ্রী প্রকল্পে ২৫ হাজার টাকা পেয়ে থাকেন বিবাহযোগ্য মেয়েরা৷ এর জন্য বিয়ের কার্ড ও অন্যান্য নথি জমা দিতে হয়৷ কিন্তু সেই টাকা এবার ঢুকল তিন সন্তানের মায়ের অ্যাকাউন্টে৷ কী ভাবে এই টাকা ঠুকল? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে৷ 

মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি থানার কড়াইয়া গ্রামের বাসিন্দা বছর ২৮-এর রেখা কর্মকার৷ তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ,  তাঁর থেকে আধার কার্ড ও টিপসই নিয়ে রূপশ্রী প্রকল্পে টাকা হাতিয়েছেন স্থানীয় দুই তৃণমূল কর্মী। রেখা বলেন,  গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতা সাদ শেখ ও রবিউল শেখ এসে বলেন, তাঁর নামে টাকা ঢুকেছে৷  তার জন্য তাঁৎ আধার কার্ড নিয়ে যান৷ এর পর গত ১৫ জুন, ওই টাকা তোলার জন্য তাঁর কাছ  ৩টি কাগজে টিপ সই নিয়ে যান ওই দুই তৃণমূল নেতা৷ এর পর দিন ব্যাঙ্কে গিয়ে রেখাদেবী জানতে পারেন, তাঁর নামে ২৫ হাজার টাকা ঢুকেছিল৷ কিন্তু তা থেকে ১০ হাজার টাকা তোলা হয়ে গিয়েছে৷ 

আরও পড়ুন- সাল্লু ভাইয়ের গানে ‘লেডি দাবাং’দের নাচে মুগ্ধ সায়নী, শেয়ার করলেন ভিডিয়ো

কিন্তু কীসের টাকা পেলেন তিনি? জানতে চান ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের কাছে৷ তখনই জানতে পারেন তাঁর অ্যাকাউন্টে রূপশ্রীর টাকা ঢুকেছিল৷ এর পরেই প্রশাসনের দ্বারস্থ হন রেখা দেবী৷ সাগরদিঘির জয়েন্ট বিডিও তপন জানা বলেন, কী ভাবে বিবাহিত মহিলার অ্যাকাউন্টে রূপশ্রীর টাকা ঢুকল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে৷ তবে অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতারাই দুর্নীতি করে এই টাকা হাতিয়েছে৷  
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *