কলকাতা: আজ ২০ দিনে পড়ল আরজিকর মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়াদের অনশন৷ অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে চলছে তাঁদের অনশন৷ ইতিমধ্যেই সিসিইউ-তে ভর্তি হয়েছেন এক আন্দোলনকারী পড়ুয়া৷ পাঁচ পড়ুয়া এখনও অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন৷ এবার আন্দোলনরত পড়ুয়াদের সঙ্গে প্রতীকী অনশনে বসলেন অভিভাবকরা৷ তাঁদের দাবি অধ্যক্ষ পদত্যাগ করলেই সমস্যার সমাধান হবে৷ অন্যদিকে, আরজিকর কর্তৃপক্ষের দাবি, আলোচনার দরজা খোলা রয়েছে৷
আরও পড়ুন- যাঁরা ঢুকছে প্রায়শ্চিত্য করে! গদ্দারদের আর ঢুকতে দেব না, হুঙ্কার অভিষেকের
এক পড়ুয়ার অভিভাবক বলেন, কলেজেক অধ্যক্ষ একজন পিতৃতুল্য৷ জানি না কেন উনি হঠাৎ হঠাৎ রেগে যেতেন, ওঁদের সঙ্গে বিশ্রী আচরণ করতেন, ওঁদের কথা শুনতে চাইতেন না৷ ছাত্রদেরও একটা ন্যায্য দাবি আছে৷ আরও এক পড়ুয়ার অভিভাবক বলেন, অধ্যক্ষের মুখের ভাষা খুবই খারাপ৷ কয়েকজন ওঁর অফিসে কথা বলতে গিয়েছিলেন, তাঁদের সঙ্গে আঙুল তুলে কথা বলেছেন৷ আরও এক অভিভাবকের কথায়, অধ্যক্ষের পদত্যাগের দাবিতে অভিভাবকরা আজ প্রতীকী অনশনে বসেছি৷ ২০ দিন ধরে অনশন চলছে৷ সরকার এবং স্বাস্থ্য দফতর ইচ্ছে করে পড়ুয়াদের এই অবস্থায় নিয়ে গিয়েছে৷ অভিভাবকেরা বলছেন, “এক মাত্র মুখ্যমন্তী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন। একজন ছাত্র অনশনের জেরে সিসিইউয়ে চিকিৎসাধীন। প্লিজ কিছু করুন।”
আরজিকর হাসপাতালের জট অব্যাহত থাকলেও হাসপাতালের ইনটার্ন চিকিৎসকদের একাংশ মেন্টর গ্রুপের সঙ্গে আলোচনায় বসে লিখিতভাবে কাজে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়েছেন৷ আন্দোলনকারীদের পাশে থেকেই তাঁরা কর্তব্য পালন করবেন বলে জানিয়েছেন৷ এদিকে অনশনকারী চিকিৎসকদের শারীরিক অবস্থা ক্রমশ খারাপ হচ্ছে৷ তাঁদের শরীরের দিকে নজর রাখছেন চিকিৎসকরা৷ মেন্টরগ্রুপের সদস্য সোমনাথ দাস আজ পড়ুয়াদের সঙ্গে কথা বলার জন্য এসেছিলেন৷ তবে নিজেদের দাবিতে তাঁরা অনড়৷
এদিকে, আরজিকর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি ও অনশনে যে অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে, তার প্রতিবাদে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হল৷ আগামী সোমবার মামলার শুনানি হবে বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে৷