গ্রুপ সি: OMR সিটে ১-২, সার্ভারে নম্বর ৫৪-৫৭! তালিকা প্রকাশ্যে

কলকাতা: এসএসসি-র গ্রুপ সি নিয়োগ নিয়েও হইচই পড়ে গিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্ট আগেই ৮৪২ জনের চাকরি বাতিল করেছিল। পাশাপাশি নির্দেশ ছিল, ‘অবৈধ’ নিয়োগের তালিকা প্রকাশ করতে হবে এসএসসি'কে। সেই তালিকা তারা প্রকাশ করেছে এবং তাতে যা দেখা যাচ্ছে তা দেখে চক্ষুচড়কগাছ সকলের। একাধিক পরীক্ষার্থীকে ১,২ নম্বর নয়, বাড়ানো হয়েছে ৫৭ নম্বর! তালিকা সামনে আসতেই তীব্র নিন্দা চারিদিকে।
আরও পড়ুন- চলতি সপ্তাহেই বদলে যাবে আকাশের রূপ, ভিজতে পারে তিলোত্তমা
এসএসসি আগেই কলকাতা হাইকোর্টকে জানিয়েছিল যে, ৯০ শতাংশ ওএমআর সিটে কারচুপি হয়েছে। আর তালিকা প্রকাশ করার পর সেটাই একেবারে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। দেখা গিয়েছে, প্রকাশিত তালিকায় ৩ হাজার ৪৭৮ জনের মধ্যে ৩ হাজার ৩০ জনের নম্বরই বাড়ানো হয়েছে। এক্ষেত্রে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ওএমআর সিটে প্রাপ্ত নম্বর ছিল শূন্য, বা এক-দুই, সার্ভারে পরে কাউকে করে দেওয়া হয়েছে ৫৩-৫৪ কিংবা ৫৭। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ৫০-এর ওপর নম্বর বাড়ানো হয়েছে গ্রুপ সি'তে। ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্ট গ্রুপ সি-র ক্ষেত্রে ৭৮৫ জনের সুপারিশপত্র বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছিল স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। এরপর আরও ৫৭ জনের জন্য এই নির্দেশ দেওয়া হয়। মোট ৮৪২ জন এই নির্দেশের ফলে খাতায়-কলমে চাকরি হারিয়েছেন।
এই মুহূর্তে আদালতের সিঙ্গেল বেঞ্চের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এবার ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের করার আবেদন হল। চাকরি হারানো গ্রুপ সি কর্মীর একাংশ এই আবেদন জানিয়েছে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে আদালত। চলতি সপ্তাহেই এই মামলার শুনানি হবে বলে অনুমান। তবে আদালতের নির্দেশ আসার পরেই এই ৮৪২ জনের স্কুলে আসা বন্ধ হয়েছে, বেতনও আর পাচ্ছেন না তারা। যদিও বেতন ফেরতের বিষয় নিয়ে এখনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। হাইকোর্টের নির্দেশ, বাতিল হওয়া প্রার্থীদের বদলে নতুন নিয়োগ করবে এসএসসি।
আরও পড়ুন- মাথা পিছু পাঁচ লক্ষ অগ্রিম! এর পর মানিকের কাছে চাকরির জন্য সুপারিশ পাঠাতেন শান্তনু
হাইকোর্ট মধ্যশিক্ষা পর্ষদকে জানিয়েছে, ১৬ মার্চের মধ্যে গ্রুপ সি-তে চাকরি পাওয়া সব ব্যক্তির নিয়োগপত্র স্কুল সার্ভিস কমিশনকে পাঠাবে তারা। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এই শূন্যপদে আগামী ১০ দিনের মধ্যে ওয়েটিং লিস্ট থেকে নিয়োগ করতে হবে। তবে আপাতত তাঁর নির্দেশের বিরোধিতায় ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছে চাকরি হারানোদের একাংশ।