বোলপুর: সাম্প্রতিক অতীতে একাধিক বিতর্কে শিরোনামে উঠে এসেছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম৷ ফের উত্তেজনা ছড়াল বিশ্বভারতী প্রাঙ্গনে৷ বাংলাদেশ আন্তজার্তিক ভবনের সামনে কবর দেওয়াকে কেন্দ্র করে চড়ল উত্তেজনার পারদ৷
আরও পড়ুন- বিজেপি’র রথ ছুটবেই, রুখতে পারবে না স্থানীয় প্রশাসন, হুঙ্কার বিজয়বর্গীয়র
প্রসঙ্গত, ভারত ও বাংলাদেশ সরকারের যৌথ উদ্যোগে বিশ্বভারতীতে গড়ে উঠেছিল বাংলাদেশ ভবনটি৷ এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম আন্তর্জাতিক ভবন৷ কিন্তু এই ভবনের সামনে কবর দেওয়া নিয়ে ফের বিতর্কের সূত্রপাত বিশ্বভারতীতে৷ ওই কবরের উপর রয়েছে ফুল, ধূপকাঠি ও একটি তোষক৷ কে বা কারা এই কবর দিল, তা নিয়ে জলঘোলা হতে শুরু করেছে৷
এই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসার পরই বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীকে নিয়ে অসন্তোষ বাড়তে শুরু করেছে সঙ্ঘ পরিবারের অন্দরে৷ প্রকাশ্যেই সেই ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন বিজেপি নেতা রন্তিদেব সেনগুপ্ত৷ নিজের ফেসবুক পেজে তিনি লেখিছেন, ‘‘বিশ্বভারতীকে আর পাঁচটা ইট–কাঠে গড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বাইরে ভাবতে পারছেন না বিদ্যুৎ চক্রবর্তী৷ এটাই ওঁর সমস্যা। রবীন্দ্রভাবনা অনুধাবন করার কথা তো অনেক দূরে।’’
কিন্তু কী ভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে ঢুকে এই কবর দেওয়া হল এবং কারাই বা এই কাজ করল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে৷ কারণ ২৪ ঘণ্টাই বাংলাদেশ ভবনের সামনে নিরাপত্তারক্ষীরা থাকেন৷ নিরাপত্তারক্ষীর চোখ এড়িয়ে কারা এই কাজ করল? এখানে সত্যিই কোনও শব দেহ রয়েছে? নাকি এটা অন্য কিছুর কবর? নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে৷ তবে যাই থেকে থাকুক এই ঘটনা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল নিরাপত্তায় কতখানি ফাঁক রয়ে গিয়েছে৷
আরও পড়ুন- ‘শোভন চট্টোপাধ্যায় ফুলকো লুচি’, তীব্র কটাক্ষ সৌমিত্র গিন্নি সুজাতা মন্ডলের
বিশ্বভারতীর বিতর্কিত দোল উৎসব থেকে পাঁচিল নির্মান, বোলপুর পুরসভার সঙ্গে দ্বন্দ্ব, ‘প্রতীচী’র জমি নিয়ে বিতর্ক একের পর এক ঘটনায় নাম জড়িয়েছে বিশ্বভারতীর৷ নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের শান্তিনিকেতনের বাড়ি ‘প্রতীচী’র সীমানায় বিশ্বভারতীর ১৩ ডেসিমেল জমি ঢুকে গিয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পাঁচিল দিয়ে পৌষমেলার মাঠ ঘেরাকে কেন্দ্র করে দেখা গিয়েছিল জনরোষ৷ এবার কবরকে কেন্দ্র করে ছাড়াল চাঞ্চল্য৷