কলকাতা: ক্রমেই বাড়ছে ওমিক্রনের আস্ফালন৷ ইতিমধ্যেই ১৭ রাজ্যে হানা দিয়েছে করোনা ভাইরাসের এই নয়া স্ট্রেন৷ আগের যে কোনও স্ট্রেনের চেয়ে অনেক বেশি সংক্রামক এই ওমিক্রন৷ তাই কারও শরীরে ওমিক্রম বাসা বেঁধেছে কিনা, তা চটজলদি বুঝে নিতে নয়া পদক্ষেপ করল রাজ্য৷ ওমিক্রন হয়েছে কিনা জানতে এবার বিশেষ আরটিপিসিআর টেস্টের ব্যবস্থা চালু করতে চলেছে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর৷ কেউ ওমিক্রন আক্রান্ত কিনা, প্রাথমিক পরীক্ষায় তার ইঙ্গিত মিলবে বলেই স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর৷ নতুন এই পরীক্ষার নাম দেওয়া হয়েছে এস জিন মিসিং আরটিপিসিআর টেস্ট৷ খুব শীঘ্রই এই পরীক্ষা চালু করা হবে বলে জানা গিয়েছে৷
আরও পড়ুন- আবার আসছে ভোট, ফের নির্বাচন কমিশনারকে তলব রাজ্যপালের
স্বাস্থ্য অধিকর্তা জানিয়েছেন, কলকাতার বেশ কিছু মেডিক্যাল কলেজে এই পরীক্ষার জন্য বিশেষ কিট আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে৷ প্রথমে কলকাতায় এই টেস্ট চালু করা হবে৷ ধীরে ধীরে গোটা রাজ্যে তা চালু করা হবে৷ এই পরীক্ষার মাধ্যমে দ্রুত ওমিক্রনকে চিহ্নিত করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী স্বাস্থ্য দফতর৷ প্রচুর নমুনা একসঙ্গে প্রসেস করে রোগী ওমিক্রন আক্রান্ত কিনা, তার প্রাথমিক ইঙ্গিত পাওয়াই এর প্রধান লক্ষ্য৷ এস জিন অনুপস্থিত থাকলে, সেই নমুনাগুলিকে পরবর্তীকালে জিনোম সিকোয়েন্সের জন্য পাঠানো হবে৷ উল্লেখ্য, জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর খরচ এবং সময় দুটোই বেশি। শুধু জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য নমুনা পাঠানো হলে, তার ফলাফল হাতে পেতে অনেকটা দেরি হয়ে যাবে৷ তাই প্রাথমিকভাবে ‘এস জিন আরটিপিসিআর টেস্ট’ চালু করার কথা জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডাক্তার অজয় চক্রবর্তী।
পাশাপাশি বড়দিন ও নববর্ষের উৎসব উপলক্ষে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে একটি সতর্কবার্তা বা অ্যাডভাইসরি জারি করা হয়েছে৷ তাতে বলা হয়েছে, বাইরে বেরলে অতি অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে৷ জোড় দেওয়া হয়েছে জোড়া ভ্যাকসিনে৷ সাধারণ মানুষকে ভিড় এড়িয়ে এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে৷ নাহলে রাজ্যেও ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে বলে সতর্ক করা হয়েছে৷
এদিকে, দেশে করোনায় দৈনিক মৃত্যু ও আক্রান্তের সংখ্যা কিছুটা কমল। শুক্রবার স্বাস্থ্যমন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৬ হাজার ৬৫০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩৭৪ জনের। গতকাল করোনায় দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা ছিল ৪৩৪।