কলকাতা: কলকাতা পুরসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি ও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে জানতে চেয়ে কিছুদিন আগেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাসকে তলব করেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। সেই ভোট তো মিটে গিয়েছে কিন্তু এবার বাকি পুরভোটের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। তাই ফের এবার তাঁকে তলব করলেন তিনি। রাজ্যের বাকি জেলার পুরসভাগুলিতে নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে কমিশনের তরফে। তার পরই রাজভবন থেকে ডেকে পাঠানো হল নির্বাচন কমিশনারকে। সূত্রের খবর, আজ বিকেলেই রাজভবনে যাবেন নির্বাচন কমিশনার।
বাকি পুরসভাগুলিতে ভোট কবে তা রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে জানতে চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট৷ ২৩ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্ভাব্য দিন জানানোর কথা বলা হয়েছিল৷ বৃহস্পতিবার পুরভোট সংক্রান্ত মামলায় কমিশনের আইনজীবী জয়ন্ত মিত্র আদালতকে জানান কবে বাকি পুরসভাগুলির ভোট করাতে চায় তারা৷ কমিশন আদালতকে জানায়, আগামী ২২ জানুয়ারি প্রথম দফায় হাওড়া,আসানসোল বিধাননগর ,শিলিগুড়ি চন্দনগর পুরনিগমের ভোট করা হতে পারে৷ বাকি পুরসভাগুলির ভোট হবে ২৭ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় দফায়৷ এখন এই পুরসভাগুলির নিরাপত্তা নিয়ে কথা বলার জন্য এবং পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার ব্যাপারে কথা বলার জন্য রাজ্যের নির্বাচন কমিশনারকে ডেকে পাঠিয়েছেন ধনখড়, এমনটাই অনুমান করা হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, ১১২টি পুরসভার মধ্যে ১১১টি পুরসভায় ভোট হবে। তার মধ্যে পাঁচটি পুরনিগম এবং ১০৬টি পুরসভা। এদিন হলফনামা দিয়ে কমিশন আদালতকে জানায়, তারা দুই দফায় ভোট করাতে চায়৷ প্রথম দফায় পাঁচটি পুরনিগম ও পরের দফায় বাকি পুরসভাগুলির ভোট করানোর চিন্তাভাবনা করছে কমিশন৷ কলকাতা পুরভোটের দিন ঘোষণার পরেই দু’টি জনস্বার্থ মামলা হয় হাইকোর্টে৷ রাজ্যের বাকি জেলাগুলির ১১১টি পুরসভায় কবে ভোট হবে তা জানতে চেয়েই এই মামলা হয়৷ এর পরেই প্রধান বিতারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চায়, কেনই বা বাকি পুরসভাগুলিতে ভোট করাতে দেরি করছে রাজ্য? বৃহস্পতিবার মামলাটি আদালতে ওঠার পর হলফনামা দিয়ে রাজ্যের বাকি পুরভোটের সম্ভাব্য দিনক্ষণ জানায় রাজ্য নির্বাচন কমিশন।