অমিত শাহকে ‘ভাত’ দেওয়া গাতীকে ৩ বছর পর চাকরি রাজ্যের

অমিত শাহকে ‘ভাত’ দেওয়া গাতীকে ৩ বছর পর চাকরি রাজ্যের

শিলিগুড়ি:  ২০১৭ সালে উত্তরবঙ্গ সফরে এসে তাঁর বাড়িতে বসেই মধ্যাহ্নভোজ সেরেছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ৷ আজ তিন বছর পর সেই অমিত শাহের বাংলা সফরের দিনই গীতা মাহালির হাতে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দিল রাজ্য সরকার৷ অমিত শাহের বঙ্গ সফরের দিনই আদিবাসী চাল দিল রাজ্য৷ 

আরও পড়ুন- ২০০টি নয়, পুরোদমে চলুক লোকাল ট্রেন! বিক্ষোভ যাত্রীদের, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আজ

তিন বছর আগে ২০১৭ সালের ২১ এপ্রিল নকশালবাড়িতে গীতা মাহালির বাড়িতেই মধ্যাহ্নভোজ সেরেছিলেন অমিত শাহ৷ তাঁর হাতে তৈরি রান্না খেয়েছিলেন তিনি৷ সেই সময় বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি ছিলেন শাহ৷ বৃহস্পতিবার গীতা মাহালিকে নকশালবাড়ি থানার স্পেশাল হোমগার্ড পদে নিয়োগ করল রাজ্য সরকার৷ মাহালি পরিবারের অভিযোগ, গত তিন বছরে তাঁদের সঙ্গে বিজেপি’র কোনও নেতাই যোগাযোগ করেননি৷ তাঁদের কোনও খোঁজও রাখেননি৷ এদিকে, অমিত শাহ গীতা মাহিলির বাড়ির অতিথি হওয়ার ঠিক পর দিনই গীতা মাহালির বাড়িতে যান রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব৷ তাঁদের বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি৷ এর পরই তৃণমূলে যোগদানও করেন গীতা মাহালী৷ এই তিন বছর বিজেপি নেতারা খোঁজ না নিলেও তৃণমূল নেতারা তাঁদের খোঁজ খবর রেখেছেন বলেই জানান গীতা৷ আর তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে তিন বছর পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর বাংলা সফরের দিনই গীতা মাহালির হাতে তুলে দেওয়া হল চাকরির নিয়োগপত্র৷ প্রতিশ্রুতি পালন করল তৃণমূল৷ গীতা জানান, চাকরিতে যোগ দিয়ে খুশি তিনি৷ 

আরও পড়ুন- ‘মমতা সরকারের মৃত্যু ঘণ্টা বেজে গিয়েছে’, বাংলায় দাঁড়িয়ে হুঁশিয়ারি অমিত শাহের

এদিকে তৃণমূলের এই পদক্ষেপকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি৷ জেলা বিজেপি’র সাধারণ সম্পাদক আনন্দ বর্মন বলেন,  বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে রাজনীতি করেছে রাজ্য সরকার৷ অমিত শাহ সৌজন্যমূলক ভাবে তাঁদের বাড়িতে অতিথি হয়ে গিয়েছিলেন৷ কিন্তু তাঁর হাতে কোনও দলীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়নি৷ অথচ অমিত শাহ যাওয়ার পর দিনই গৌতম দেব গিয়ে তাঁদের হাতে তৃণমূলের পতাকা ধরিয়ে দেন৷ আগামী দিনেও বিজেপি নেতারা বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়িতে যাবেন, সেখানে অন্ন গ্রহণ করবেন৷ তাঁদেরও যদি চাকরি দেওয়া হয়, তাহলে ভালো৷ অন্যদিকে তৃণমূলের পাল্টা অভিযোগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এসে গীতা মাহালির বাড়িতে মধ্যাহ্ন ভোজ সেরেছিলেন৷ অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন৷ অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া এই পরিবারের সঙ্গে কোনও দলের নেতা যোগাযোগ রাখেননি৷  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *