২০০টি নয়, পুরোদমে চলুক লোকাল ট্রেন! বিক্ষোভ যাত্রীদের, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আজ

২০০টি নয়, পুরোদমে চলুক লোকাল ট্রেন! বিক্ষোভ যাত্রীদের, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আজ

কলকাতা: লোকাল ট্রেন চালানোর দাবিতে দু’দিন আগেই উত্তাল হয়েছিল হুগলীর বৈদ্যবাটি স্টেশন৷ এবার ট্রেন চালুর দাবিতে বিক্ষোভ চলল দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বারাসত স্টেশনে৷ বৃহস্পতিবার সকালে স্টেফ স্পেশাল ট্রেন আটকে স্টেশনে বিক্ষোভ দেখান ভারতের গণতান্ত্রিক যুব ফেডারেশনের (‌ডিওয়াইএফআই)‌ সদস্যরা৷ এদিকে, রাজ্যে কবে থেকে ট্রেন চালানো হবে, সে বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে আজই বৈঠকে বসবে রাজ্য ও রেল৷ 

আরও পড়ুন- ‘মমতা সরকারের মৃত্যু ঘণ্টা বেজে গিয়েছে’, বাংলায় দাঁড়িয়ে হুঁশিয়ারি অমিত শাহের

ট্রেন চালু হলেও, কী কী নিয়ম কার্যকর করা হবে তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে৷ এর আগে নবান্নে রাজ্য ও রেলের তরফে বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করা হলেও দ্রুত পরিষেবা চালুর বিষয়ে তারা সহমত হয়েছিল৷ বলা হয়েছিল, আপাতত ৫০ শতাংশ আসনে লোকাল ট্রেন চালানোর বিষয়ে ভাবা হচ্ছে৷ তবে, লোকাল ট্রেনে ৫০ শতাংশ আসনে কীভাবে যাত্রী পরীষেবা দেওয়া সম্ভব, তা নিয়ে  চিন্তাভাবনা চলছে৷ তবে মেট্রোর মতো ই-পাসের কোনও ব্যবস্থা থাকছে না৷ ১০ থেকে ১৫ শতাংশ লোকাল ট্রেন চালুর পক্ষে মত প্রকাশ করেছে রাজ্য৷ 

এদিকে, এদিন সকালে বারাসত স্টেশনে স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন আটকে বিক্ষোভ শুরু করেন ডিওয়াইএফআইয়ের সদস্যরা৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে তড়িঘড়ি অকুস্থলে পৌঁছয় আরপিএফ৷ বিক্ষোভকারীদের রেললাইন থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করা হলেও, দীর্ঘ সময় তারা স্টাফ স্পেশাল ট্রেন আটকে রেখে প্রতিবাদ জানায়৷ তাঁদের বক্তব্য, ট্রেন টালু না হওয়ায় চরম সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছে এই রুটের যাত্রীদের৷ ডিওয়াইএফআই সদস্যদের দাবি, স্টাফ স্পেশাল বা ২০০ টি ট্রেন নেয়৷ যাত্রী সুবিধার্থে পুরোদমে লোকাল ট্রেন চালাতে হবে৷ 

আরও পড়ুন- ভোটের আগে কল্পতরু মমতা, আর্থিক সহযোগিতার কথায় একহাত নিলেন কেন্দ্রকে

ট্রেন চালানো নিয়ে গভীর ভাবেই চিন্তা ভাবনা করছে রাজ্য সরকার৷ বুধবার পূর্ব রেল ও দক্ষিণ পূর্ব রেলের আধিকারিক, আরপিএফ এবং রাজ্য পুলিশের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন স্বরাষ্ট্রসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী, পরিবহণ সচিব ও অন্যান্য আধিকারিকরা৷ প্রায় দু’ ঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন তাঁরা৷ করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে কী ভাবে সুষ্ঠুভাবে ট্রেন চালানো সম্ভব হবে এবং তার জন্য কীরকম স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর (‌SOP) তৈরি করতে হবে, সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে। লোকাল ট্রেন চালানোর দাবি জানিয়েছে বামেরাও৷ এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়ার পর গতকাল সাংবাদিক বৈঠক করেন সুজন চক্রবর্তী৷ তিনি বলেন, ‘‘ট্রেনের সংখ্যা কমালে চলবে না, বরং যা ট্রেন চলে তার চেয়ে বেশি ট্রেন চালাতে হবে৷ তাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন চালানো সম্ভব হবে৷ ’’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen + fourteen =