কলকাতা: নবান্নের সভাঘরে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বুধবার বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ২১-এর নির্বাচনকে পাখির চোখ করে মতুয়া সম্প্রদায়ের হাতে একগুচ্ছ উপহার তুলে দিলেন তিনি৷ সেই সঙ্গে ডোকরা ও ছৌশিল্পীদের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের আওতায় আনার কথাও ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী৷ বিভিন্ন সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিদের দাবি শুনে তা পূরণের আশ্বাসও দিলেন তিনি৷ আবার আর্থিক সাহায্যের কথা শুনে বেশ চটলেনও মুখ্যমন্ত্রী৷ এক হাত নিলেন কেন্দ্রকে৷
আরও পড়ুন- বাইক কেনার ইচ্ছা? চিন্তা নেই, টাকা দেবে মমতার সরকার! হবে কর্মসংস্থান
এদিন বৈঠকে সারা বাংলা তন্তুবায় শিল্পী সমবায়ের এক প্রতিনিধি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর তাঁতী সাথী প্রকল্পে তাঁতীরা তাঁত পেয়েছেন৷ কিন্তু কাজ করার জন্য তাঁতীদের কাছে পুঁজি নেই৷ ব্যাঙ্ক লোনের ব্যবস্থা করে সমবায় সমিতিগুলিকে যদি পুনরুজ্জীবিত করা যায় তাহলে তাঁতীরা সংগঠিতভাবে কাজ করতে পারবে৷ এই সমবায় সমিতিগুলিতে যাঁরা কাজ করে তাঁদের সরকারের তরফে গ্র্যান্ট দেওয়ার আবেদনও জানান তিনি৷ একথা শোনার পরই চটে যান মুখ্যমন্ত্রী৷ তিনি বলেন, কেন্দ্র একটা টাকাও দেয় না৷ আমাদের টাকা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে৷ অন্যান্য রাজ্যে বেতন দেওয়াও বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ কিন্তু এ রাজ্যে বিনা পয়সায় রেশন দেওয়া হচ্ছে, কোভিডের চিকিৎসা চলছে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি যতটা পারব করব৷ আমার কাছে টাকা না থাকলে, কোথা থেকে করব?’’
পুরুলিয়ার পিছিয়ে পড়া বাউড়ি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধির আবদার, বাংলা আবাস যোজনায় বাউড়ি সহ পিছিয়ে পড়া সকল জনজাতিকে যুক্ত করা হোক৷ একটি পরিষদ ও কমিউনিটি হল তৈরির আবেদনও জানান তিনি৷ এর পরই মুখ্যমন্ত্রীর আশ্বাস, বাংলার আবাস যোজনায় ধীরে ধীরে সকলকে যুক্ত করা হবে৷ এক সঙ্গে সবটা সম্ভব নয়৷ আস্তে আস্তে সব করে দেব৷ কমিউনিটি হল গড়ে দেওয়ার আশ্বাসও দেন তিনি৷
আরও পড়ুন- লোকাল ট্রেনের আসন কমিয়ে পরিষেবা? ‘অবিবেচক’ সিদ্ধান্তে তোপ সুজনের
পাশাপাশি বাঁকুড়ার কোতলপুর ব্লকের স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সিজারের ব্যবস্থা চালু করার আবেদনও আসে৷ মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কোভিড পরিস্থিতিতে চিকিৎসক, নার্সরা সকলে ব্যস্ত আছে৷ কোভিড পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সব ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে৷ কোতলপুর হাইস্কুল করার প্রতিশ্রুতিও দেন তিনি৷ বাউড়ি, দুলে, বাগদি সমাজের প্রতিষ্ঠিত কোনও ব্যক্তির নাম জানতেও চাওয়া হয়৷ যাতে তাঁদের নামে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যায়৷