ফের মুখ্যসচিব ও ডিজিপিকে তলব রাজ্যপালের, ‘অসংবিধানিক’ বললেন সৌগত!

ফের মুখ্যসচিব ও ডিজিপিকে তলব রাজ্যপালের, ‘অসংবিধানিক’ বললেন সৌগত!

কলকাতা: ফের মুখ্য সচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজিকে তবল রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের৷ ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে তাঁদের দেখা করতে বলেছেন রাজ্যপাল৷ এদিন টুইট করে তিনি বলেন, জনস্বার্থেই তিনি মুখ্য সচিব এবং রাজ্য পুলিশের ডিজিকে তলব করছেন৷ 

আরও পড়ুন- উত্তরকন্যা অভিযান: কীভাবে মৃত্যু হল বিজেপি কর্মীর? তদন্তে সিআইডি

রাজ্যপাল বলেন, এর আগেও লাগাতার তথ্য চেয়ে কোনও জবাব মেলেনি৷ রাজ্যের কোনও বিষয়ে তাঁকে অবহিত করা হচ্ছে না৷ ফলে ১২ ডিসেম্বরের মধ্যে মুখ্য সচিব ও ডিজিকে টুইট করে তবল করা হয়েছে৷ অভিযোগ, রাজ্যপাল বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চাইলেও রাজ্যের তরফে কোনও জবাব দেওয়া হয়নি৷ কার্যত নিশ্চুপ রয়েছে রাজ্য প্রশাসন৷ রাজ্য সরকারের অবস্থানের কোনও পরিবর্তন হয়নি৷ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় কী ঘটনা ঘটছে সে সম্পর্কেও রাজ্যপালকে কোনও তথ্য জানানো হচ্ছে না৷ রাজ্যের অএই মনোভাবে সাংবিধান লঙ্ঘিত হচ্ছে বলেও আরও একবার স্মরণ করিয়ে দেন রাজ্যপাল৷  

 

রাজ্যের সাম্প্রতিক ঘটনা সম্পর্কে জানতেই এই তবল বলে স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে৷ রাজ্যের কোনও বিষয়ে তাঁকে অবহিত করা হচ্ছে না বলেই এদিন টুইট করেন রাজ্যপাল৷ এই অভিযোগ আগেও করেছিলেন তিনি৷ এদিন ফের একই অভিযোগ করেন৷ এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, ‘‘সংবিধান বিরোধী কাজ করছেন রাজ্যপাল৷ সংবিধানে  রাজ্যপালের ক্ষমতা সম্পর্কে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে৷ ১৬৭ (৩) নম্বর ধারা অনুযায়ী রাজ্যপাল মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখতে পারেন৷ মুখ্য সচিব এবং ডিজিকে তলব করার কোনও অধিকার রাজ্যপালকে দেওয়া হয়নি৷’’ সৌগতবাবু আরও বলেন, ‘‘উনি যদি তলব করেই থাকেন, তাহলে টুইট করলেন কেন? গোপনেও করতে পারতেন৷ জনসমক্ষে এই কাজ করে অন্যায় করেছেন রাজ্যপাল৷ প্রকাশ্যে টুইট করা এব মুখ্য সচিব ও ডিজিকে ডেকে পাঠানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি৷’’ 

আরও পড়ুন- ‘নিজের মিছিলে নিজেই লোক মারে বিজেপি’, তোপ মমতার

আবার বঙ্গ বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘সৌগত বাবু সংবিধান বিশেষজ্ঞ নন৷ উনি কলেজে পড়ান৷ একজন আইনজীবীও আছেন, উনিও কতটা সংবিধান সম্পর্কে জানেন বা মানেন তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে৷ সুপ্রিম কোর্টে যে রাজ্যপাল প্র্যাকটিস করেছেন তাঁর কথার জবাব ওনারা দিতে পারছেন না বলেই এই বিরোধিতা৷ রাজ্যে আইন শৃঙ্খলার অবনতি ঘটছে৷ গুলি করে কর্মীদের মারা হচ্ছে৷ এ বিষয়ে রাজ্যপাল জানতে চাইতেই পারেন৷ সরকার কোনও কথা শোনে না বলেই উনি এটা করতে বাধ্য হয়েছেন৷’’ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *