রামপুরহাট-কাণ্ডে বিবৃতি দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ রাজ্যপালের, মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব

রামপুরহাট-কাণ্ডে বিবৃতি দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ রাজ্যপালের, মুখ্যসচিবের কাছে রিপোর্ট তলব

কলকাতা: রামপুরহাট-কাণ্ডে উত্তাল গোটা বাংলা৷ বগটুই গ্রামে গণহত্যার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ মঙ্গলবার দুপুরে একটি ভিডিয়ো বিবৃতি দিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি৷ সেই সঙ্গে মুখ্যসচিবের থেকে রিপোর্ট তলব করেন রাজ্যপাল৷  

আরও পড়ুন- সরকারের ভাবমূর্তি খারাপ করার চেষ্টা, রামপুরহাটের ঘটনায় সরব পার্থ

এদিন টুইটে রাজ্যপাল লেখেন, ‘‘বীরভূমের রামপুরহাটে যে ঘটনা ঘটেছে, তা থেকে স্পষ্ট রাজ্যে হিংসার রাজনীতি চলছে৷ আইনশৃঙ্খলার ভেঙে পড়েছে৷ ইতিমধ্যে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। আমি জরুরি ভিত্তিতে রাজ্যের মুখ্য সচিবের কাছ থেকে রিপোর্ট তলব করছি। নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাই৷’’  সেইসঙ্গে ভিডিয়ো বার্তায় ধনকড় বলেন, ‘‘রামপুরহাটের ভয়াবহ নৃশংসতায় আমি মর্মাহত ও বিব্রত। ডিজিপি’র জানিয়েছেন এই ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা যে একেবারেই ভেঙে পড়েছে তা এই ঘটনা থেকে স্পষ্ট৷’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি আগেও বারবার বলেছি, রাজ্যে এমন অরজকতা আমরা মেনে নিতে পারি না। প্রশাসনকে রাজনৈতিক বিভাজনের ঊর্ধ্বে উঠতে হবে। আমি বলব, পুলিশ আধিকারিকরা যেন আরও বেশি করে পেশাদারি পদক্ষেপ করে৷ মুখ্যসচিবকে এই ঘটনা প্রসঙ্গে দ্রুত আমাকে অবগত করতে বলেছি। রাজ্যে মানবাধিকার লঙ্ঘিত৷ আইনের শাসন ভেঙে পড়েছে।’’  

সোমবার রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে বোমা হামলায় মৃত্যু হয় তৃণমূল নেতা ভাদু শেখের৷ তিনি রামপুরহাট এক নম্বর ব্লকের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ছিলেন। তিনি ছিলেন বগটুই গ্রামের৷ গতকাল গ্রামে জাতীয় সড়কের পাশে একটি চায়ের দোকানে বসেছিলেন ভাদু। সেই সময় তাঁকে লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে এক দল দুষ্কৃতী। ঘটনায় গুরুতর জখম হন ভাদু৷ রক্তাক্ত অবস্থায় তাঁকে রামপুরহাট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ভাদুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এর পরেই অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে বগটুই৷ পর পর  বাড়িতে ভাঙচুর চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়৷ আজ সকালে ১০টি অগ্নিদগ্ধ দেহ উদ্ধার করা হয়৷ গোটা গ্রাম ঘিরে রেখেছে পুলিশ৷ খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ৷