কলকাতা: গত ৫ এপ্রিল ইতিহাস সৃষ্টি করে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কোভিড পরিস্থিতিতে আজ রাজভবনে সংক্ষিপ্ত শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শপথ নেন তাঁর তৃতীয় মন্ত্রিসভার ৪৩ জন মন্ত্রী৷ রাজভবনের থ্রোন রুমে শপথ নেন তাঁরা৷ এদিকে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান শেষ হতেই রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷
আরও পড়ুন- রাজভবনে শপথ মমতার মন্ত্রিসভার, ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে শপথ অমিত-ব্রাত্যের
এদিন প্রথমেই তিনি বলেন, এই সঙ্কটময় সময়ে সকলে যেন কোভিড প্রোটোকল মেনে চলেন সেই আর্জি জানাচ্ছি৷ মানব জাতির উপর যে আঘাত নেমে এসেছে, আমরা যেন তাঁর মোকাবিলা করতে পারি৷ আমাদের রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি খুবই সঙ্কটজনক৷ এর পরেই রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হন রাজ্যপাল৷ তিনি বলেন, রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা খুবই উদ্বেগজনক৷ আমি নিজে হিংসা কবলিত এলাকায় যাব৷ রাজ্যকে ব্যবস্থার কথা বলেছিলাম৷ কিন্তু রাজ্যের কাছ থেকে যথোপযুক্ত উত্তর পাইনি৷ এটা গণতন্ত্রের উপর আঘাত৷ বিভিন্ন জায়গায় মানুষ আক্রান্ত৷ নিজের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগের মূল্য জীবন দিয়ে চোকাতে হয়েছে৷ আপনার ভোট যদি জীবনের বিনিময়ে হয়, ঘরবাড়ি ভাঙচুরের বিনিময়ে হয়, আপনাকে যদি লুঠ করা হয়, তাহলে তা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে৷ এই পরিস্থিতিতে গণতন্ত্র পাখা মেলতে পারে না৷ তিনি বলেন, চারিদিক থেকে খুবই উদ্বেগজনক রিপোর্ট আসছে৷ এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যও সচেতন৷ যা ঘটে চলেছে তা নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন৷
আরও পড়ুন- মমতার মন্ত্রিসভায় অভিজ্ঞ ২৭, নতুন ১৬, কারা হচ্ছেন মন্ত্রী?
রাজ্যপাল আরও বলেন, আমরা গতকালই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬৮তম জন্মজয়ন্তী পালন করেছি৷ কিন্তু রাজ্যের পরিস্থিতি আমাকে ভাবাচ্ছে৷ সরকারের যেন গ্রাউন্ড রিয়্যালিটি খতিয়ে দেখে মানুষের আত্মবিশ্বাস ফেরাতে কাজ করে৷ দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হয়৷ তাঁর কথায়, রাজ্য সরকারের কোনও দায়িত্ববোধ আমার নজরে আসেনি৷ গত ৩ মে ডিজিপি ও সিপি’র কাছেও রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রিপোর্ট চেয়েছিলাম৷ এখনও সেই উত্তর পাইনি৷ কেন তাঁরা সেই রিপোর্ট দিল না? প্রশ্ন তোলেন তিনি৷