Aajbikel

হাওড়ার মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে, কী ভাবে হৈমন্তীর ওপর নজর পড়ল গোপাল দলপতির?

 | 
হৈমন্তী

কলকাতা: বৃহস্পতিবার আদালত থেকে বেরিয়ে প্রিজন ভ্যানে ওঠার সময়েই বোমাটা ফাটিয়েছিলেন তিনি৷ তাঁর মুখে উঠে আসে এক নারী চরিত্রের নাম৷ সেই রহস্যময়ী নারী কে? সেটাও জানা গেল নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তৃণমূলের যুব নেতা কুন্তল ঘোষের মুখ থেকেই৷ সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের তিনি জানান, হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায় হলেন নিয়োগ দুর্নীতিতে সাক্ষী গোপাল দলপতির দ্বিতীয় স্ত্রী৷  কিন্তু হঠাৎ কেন উঠল হৈমন্তীর নাম? কুন্তল ঘোষের দাবি, সব টাকা ওঁর কাছেই আছে। এর পর থেকেই বাংলার বসন্তে বইতে শুরু করেছে হৈমন্তীর উষ্ণ হাওয়া৷ তবে দলপতি দম্পতির নাকি বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। তাঁরা আর একসঙ্গে থাকেন না৷ 

আরও পড়ুন- ২১ ফেব্রুয়ারির প্রতিবাদ কর্মসূচির পর 'ভাষা বাঁচাও কনভেনশন', সিদ্ধান্ত নিল সংগঠন

তবে একসময় গোপাল এবং হৈমন্তীর কেমিস্ট্রি ছিল বেশ মাখোমাখো৷  তিহার থেকে ছাড়া পাওয়ার পর স্ত্রীর ইচ্ছায় নাম বদলে আরমান গঙ্গোপাধ্যায় হয়েছিলেন গোপাল। হৈমন্তীর সঙ্গে পার্টনারশিপে কোম্পানিও খুলেছিলেন তিনি৷ ওই কোম্পানির নাম দিয়েছিলেন হৈমন্তী অ্যাগ্রো প্রাইভেট লিমিটেড। সেখানে যৌথভাবে ডিরেক্টরের পদে ছিলেন স্বামী-স্ত্রী।


হৈমন্তীর বাড়ি হাওড়ার উত্তর বাকসাড়ায়। সেখানে তিন তলা বাড়িতে থাকেন তাঁর বাবা, মা আর ছোট বোন। আর হৈমন্তী? স্থানীয়রা বলছেন, দিন দশেক আগেও একটি বিলাসবহুল গাড়িতে চেপে বাকসাড়ার বাড়িতে এসেছিলেন সে বাড়ির বড় মেয়ে।


তবে এদিন সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের দেখে হৈমন্তীকে নিয়ে কার্যত ক্ষোভ উগরে দেন তাঁর মা। পোশাক একদম সাদামাটা৷ যেমনটা গেরস্থ বাঙালি মধ্যবিত্ত বাড়ির মহিলারা পরে থাকেন। ছাপা শাড়ির আঁচল গাঁয়ে জড়িয়েই এদিন সংবাদমাধ্যমের সামনে তিনি বলেন, ‘ও আর নেই। আমার কাছে ও মরে গেছে। ওদের কারও সঙ্গে আমাদের কোনও যোগাযোগ নেই।’ গোপাল দলপতির সঙ্গে মেয়ের সম্পর্ক যে তাঁরা মেনে নিতে পারেননি সে কথাও সাফ জানিয়ে দেন৷


জানা গিয়েছে, গোপাল দলপতির সঙ্গে হৈমন্তীর বিয়ে হলেও বছর তিনেক আগেই তাঁদের বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কুন্তলের দাবি, এই হৈমন্তীর কাছেই নিয়োগ দুর্নীতির বিরাট অঙ্কের টাকা লুকানো আছে।


এক সময় মডেলিং করতেন হৈমন্তী গঙ্গোপাধ্যায়। প্রতিবেশীরা বলেন, হৈমন্তীর বাবা-মা নাকি এলাকায় বলে বেরাতেন তাঁদের মেয়ে সিরিয়াল, সিনেমা করেন। গভীর রাত পর্যন্ত তাঁদের বাড়ির সামনে বিলাসবহুল সব গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকত বলেও দাবি তাঁদের৷ 


 


সূত্রের খবর, তাপস মণ্ডলের হয়ে গোপাল দলপতি কাজ করা শুরু করার পর তাঁর হাতে প্রচুর টাকা চলে আসে৷ সেই সময়ই হৈমন্তীর সঙ্গে গোপালের পরিচয়। তাঁদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতাও তৈরি হয়। পরবর্তীকালে তাঁরা বিয়ে করেন। তবে গোপাল দলপতি আরমান গঙ্গোপাধ্যায় নাম নেওয়ার আগেই নাকি হৈমন্তীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছিল।

হৈমন্তীর প্রতিবেশীর কথায়, "একটা গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকত দেখেছি। এর থেকে বেশি কিছু বলতে পারব না।" আরেক প্রতিবেশী বলেন, "হৈমন্তীকে চিনব না হেত পারে! ওর বিয়ের সময়ে আমাদের নিমন্ত্রণ করল, খাওয়াদাওয়া করলাম, আবার কী! গোপালকেও দেখেছি। ছোট থেকেই চোখের সামনে দেখছি হৈমন্তীকে।"


 

Around The Web

Trending News

You May like