মায়ের সামনে ঘুঁচে গেল সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ, কুমারীর আসনে বসল সাহেবা খাতুন

মায়ের সামনে ঘুঁচে গেল সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ, কুমারীর আসনে বসল সাহেবা খাতুন

চুঁচুড়া:  মাতৃত্বের আরাধনায় ভাঙল ধর্মের ভেদাভেদ৷ অষ্টমীর সকালে মৃন্ময়ী মাতৃমূর্তির সামনে কুমারীর আসনে বসল পাঁচ বছরের সাহেবা খাতুন৷ সম্প্রীতির নজির গড়ল হুগলির চুঁচুড়া৷ ধুয়ে মুছে গেল সাম্প্রদায়িক ভেদাভেদ৷ 

আরও পড়ুন- ভারতে মাত্র ১৮.৯ শতাংশ মানুষের সম্পূর্ণ টিকাকরণ হয়েছে, এটাই বাস্তব

চুঁচুড়ায় ঝিঙেপাড়ার সারদা রামকৃষ্ণ সেবাশ্রম এর আগেই সম্প্রীতির নজির গড়েছে৷ এই আশ্রমে কুমারী হিসাবে পুজিত হয়েছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের এক শিশুকন্যা৷ সাহেবার আগে চার বার কুমারীর আসনে বসেছে তার দিদি। আশ্রমের মহারাজ স্বামী দুর্গাত্মানন্দ বলেন,  এই মঠ রামকৃষ্ণ পরমহংসের মতাদর্শে চালিত হয়৷ এই মঠে কোনও ভেদাভেদে নেই৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা রামকৃষ্ণের আদর্শে পুজো করি। আমরা ধর্মের বিভেদ করি না।’’ প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের এক মুসলিম কন্যাকে কুমারী রূপে প্রথম পুজো করেছিলেন স্বয়ং স্বামী বিবেকানন্দ। 

মহারাজ বলেন, সনাতন শাস্ত্রে কুমারীর মধ্যে দেবী দুর্গার বাস৷ মুনিঋষিরা কুমারীর মধ্যে প্রকৃতির আরাধনা করতেন। প্রকৃতি মানেই নারী। কুমারীর মধ্যে মা দুর্গার আবির্ভাব হয় বলেই বিশ্বাস৷ এদিকে ছোট মেয়েকে আশ্রমের পুজোয় কুমারীর আসনে দেখে খুশি সাহেবার বাবা মহম্মদ আজহারউদ্দিন। তিনি বলেন, ‘‘মেয়ের পাঁচ বছর বয়স৷ ওর আগে ওর দিদিকে কুমারীপুজোয় বসানো হত। এ বার ছোট মেয়ে বসেছে৷ খুব ভালো লাগছে৷’’
 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

nineteen − 19 =