নয়াদিল্লি: মোদি সরকারের যাবতীয় ঢক্কা নিনাদের পর সারা দেশে মাত্র ১৮.৯ শতাংশ মানুষের সম্পূর্ণ টিকাকরণ হয়েছে। একবার টিকা পেয়েছেন জনসংখ্যার ৪৮.৭ শতাংশ। এদিকে সুপ্রিম কোর্টকে মোদি সরকার প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছে – বছরের শেষেই প্রাপ্তবয়স্কদের টিকাকরণ সম্পূর্ণ করবে ভারত। তথ্য বলছে, টার্গেট থেকে অনেক দূরে আছে মোদি সরকার।
তবে আশার কথা এই যে, সরকারের ঘুম ভেঙেছে। জুন মাসে এক দিনে রেকর্ড সংখ্যক টিকা দিয়েছে ভারত। সোমবার গোটা দেশে ৮৬ লাখ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। এভাবেই টিকাকরণ চলবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যারা টিকা পেয়েছেন এবং যারা টিকা দিয়েছেন, সকলকেই ধন্যবাদ জানিয়ে মোদী বলেছেন, অত্যন্ত আনন্দের একটি দিন। করোনার সঙ্গে লড়াইয়ে টিকাকরণ সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
ভারতে টিকাকরণ পদ্ধতি হল – ১৮ বছরের উপরে সকলকে বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। বস্তুত, মোট টিকা উৎপাদনের ৭৫ ভাগ কেন্দ্র কিনে নিচ্ছে। তারপর তা বিনামূল্যে নাগরিকদের দেওয়া হচ্ছে। ২৫ ভাগ ভ্যাকসিন কিনছে দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলি। তারা অর্থের বিনিময়ে টিকা দিচ্ছে। তবে নির্দিষ্ট দাম বেধে দিয়েছে কেন্দ্র। কো-অপলিকেশন এর মাধ্যমে টিকাকরণ নিয়ন্ত্রিত হয়। এর মধ্যে সুখবর হল, ভারতে বেশ কয়েকটি নতুন ভ্যাকসিন আসতে চলেছে। তাদের মধ্যে রয়েছে সিঙ্গেল ডোজ ভ্যাকসিন। দেশেই তৈরি হয়েছে দুটি ভ্যাকসিন। এই সমস্ত ভ্যাক্সিনগুলি ট্রায়াল শেষ করে ফেলেছে।
এদিকে, জরুরি পরিস্থিতিতে ২-১৮ বছর বয়সিদের টিকাকরণের ব্যবস্থা করতে চায় সরকার। ছাড় পেয়েছে ভারত বায়োটেক-এর কোভ্যাক্সিন। মঙ্গলবারই এই টিকার ব্যবহারে ছাড়পত্র দিয়েছে ওষুধ নিয়ামক সংস্থা (ডিসিজিআই)। ছাড়পত্র পাওয়ার দৌড়ে রয়েছে আরও তিনটি সংস্থার তৈরি টিকা।
দেশে তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে অনেকদিন আগেই। তার মাঝেই শিশুদের টিকা নিয়ে বেশ কয়েকটি সংস্থা কাজ চালাচ্ছিল। ভারত বায়োটেক ছাড়াও তার মধ্যে রয়েছে জাইডাস ক্যাডিলা, বায়োলজিক্যাল ই, সেরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডিয়া। শিশুদের জন্য যে সব টিকা তৈরি হচ্ছে সেগুলির মূল্যায়নের কাজ চলেছে। বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করার পর এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।