কলকাতা: জাতির জনক মহত্মা গান্ধীর ১৫১ তম জন্মজয়ন্তীতে বাপুকে শ্রদ্ধা জানিয়ে টুইট করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তাঁর কথায়, আগের চেয়েও আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে গান্ধীজির দর্শন৷ এদিন টুইট করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘গান্ধীজি, নেতাজি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, মৌলনা আজাদ, আম্বেদকর এবং অন্যান্য সংগ্রামীরা স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের জন্য অক্লান্ত লড়াই করেছিলেন৷ আমরা কি এত সহজেই সেই স্বাধীনতা ছেড়ে দেব? বাপুর দর্শন আগের চেয়ে এখন আরও বেশি প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে৷’’
আরও পড়ুন- মাত্র ৫ টাকায় ‘দিদির রান্নাঘরে’ মিলছে ডাল-ভাত-সবজি! খাবারের লাইনে ক্ষুধার্ত জনতা
মহত্মা গান্ধীর নামে পূর্ব মেদিনীপুরে একটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী৷ অপর একটি টুইটে তিনি বলেন, “ আসুন, গান্ধীজির অহিংসার আদর্শে আমরা আজের দিনটিকে আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস হিসেবে উদযাপন করি। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় গান্ধীজির স্মরণে একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বাপুর বার্তা ছড়িয়ে দিতে হবে।”
অন্যদিকে টুইট করে মুখ্যমন্ত্রীকে এদিন ফের খোঁচা দেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ সাংবিধানিক এবং প্রশাসনিক প্রধানের মধ্যে দ্বন্দ্ব যেন কিছুতেই মিটছে না৷ এদিন বাপুকে সম্মান জানানোর পরই টুইট করে রাজ্যপাল বলেন, “গান্ধীজির অহিংস ভাবনা চিন্তাভাবনা আমাদের মানবতাকে উদ্বুদ্ধ করবে৷ বাপুর আদর্শই গণতান্ত্রিক পরিবেশ তৈরিতে অনুপ্রাণিত করবে। হিংসার বদলে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক।” রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল৷ একে অপরের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন তাঁরা৷
আরও পড়ুন- সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে ফের সরব রাজ্যপাল, পাল্টা ধনখড়কে ‘নৈরাজ্যপাল’ অ্যাখ্যা ব্রাত্যর
এদিন রাজ্যপালের টুইটের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী কোনও প্রতিক্রিয়া না দিলেও, তার বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন ব্রাত্য বসু৷ তিনি বলেন, মানুষের মৌলিক অধিকারের উপর ভিত্তি করেই সংবিধান তৈরি৷ সেই সংবিধানের বা মানুষের মর্যাদা কী ভাবে ক্ষুন্ন করা হচ্ছে, উত্তর প্রদেশের হাথরাস তা দেখেছে৷ উত্তর প্রদেশের যে ঘটনা ঘটল, যেখানে নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে জেলা শাসক হুমকি দিয়ে এলেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপালের মতামত কী সেটা আগে জানতে চান৷ ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘দুটি তত্ত্বের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে বিজেপি৷ এনকাউন্টার এবং গ্রেফতার৷ মহিলাদের ক্ষেত্রে নির্যাতন এবং ধর্ষণ৷ এই সংস্কৃতিই বিজেপি বাংলায় আনতে চায়, সে কথাই আগাম বলে গেলেন রাজ্যপাল৷’’ তিনি নিজের পদকে নৈরাজ্যপাল করে তুলছেন বলেও তোপ দাগেন ব্রাত্য৷