সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে ফের সরব রাজ্যপাল, পাল্টা ধনখড়কে ‘নৈরাজ্যপাল’ অ্যাখ্যা ব্রাত্যর

সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে ফের সরব রাজ্যপাল, পাল্টা ধনখড়কে ‘নৈরাজ্যপাল’ অ্যাখ্যা ব্রাত্যর

 

কলকাতা: গান্ধী জয়ন্তী উপলক্ষে মেয়ো রোডে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে আরও একবার রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়৷ রাজভবনের টাকা আটকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংবিধান বিরোধী কাজ করেছেন বলেও সুর চড়ালেন তিনি৷ পাল্টা রাজ্যপালকে ‘নৈরাজ্যপাল’ বলেও তোপ দাগেন ব্রাত্য বাসু৷ 

আরও পড়ুন- নজরে নির্বাচন: বাংলায় ফিরতে চলেছে মোদি-শাহের ম্যারাথন সভা, তবে কীভাবে?

এদিন কটাক্ষ করেই রাজ্যপাল বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রোজ বিজ্ঞাপনের পিছনে টাকা খরচ করেন৷ এটা তাঁর বিবেক৷ কিন্তু উনি ভাবছেন টাকা আটকে রাজভবনকে পঙ্গু করে দেবেন৷ এটা তাঁর ভুল ধারনা৷ রাজভবন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান৷ কোনও কিছুর জন্য রাজভবনের সঙ্গে আপোস করা সম্ভব নয়৷ রাজভবন আগের মতোই চলবে৷ রাজ্যপাল বলেন, ‘‘আমি সরকারের সঙ্গে কোনও পরিস্থিতিতেই বিবাদ চাই না৷ সরকারের সঙ্গে হাত মিলিয়েই কাজ করতে চাই৷ বাংলার সংস্কৃতিকে রক্ষা করতে চাই৷ রাজভবনের সঙ্গে যে বিবাদের পথে উনি চলেছে, সে সম্পর্ক সংবিধান কখনও কল্পনা করতে পারেনি৷ এই ধরনের মনোভাব কখনও কল্পনা করা যায়নি৷ আমি অনেক চেষ্টা করছি যাতে আমরা একজোট হয়ে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের উন্নতির জন্য কাজ করতে পারি৷ আপনারা হয়তো সে বিষয়ে সবটা জানেন না৷ কিন্তু তা সম্ভব হয়নি৷ 

রাজ্যপাল আরও বলেন, আমি কোনও রাজনৈতিক দলের স্টেকহোল্ডার নই৷ কিন্তু এই নিয়ে কারও কোনও বিবাদ থাকা উচিত নয় যে, সরকার আইন এবং সংবিধান মেনে চলবে৷ আইন বা সংবিধানের বিরুদ্ধে যাবে না৷ আপনাদের প্রথম সেবক রাজ্যপাল সংবিধানের স্টেকহোল্ডার৷ আমি এর বিপরীতে গেলে, আমার শপথকে লঙ্ঘন করা হবে৷ যা আমি কোনও দিনই করব না৷ 

তিনি আরও বলেন, ‘‘১ অক্টোবর যে ঘটনা ঘটেছে তাতে আমি লজ্জিত৷ চ্যান্সেলার হিসাবে প্রো-ভাইস চ্যান্সেলরের নিয়োগ রাজ্যপাল করে থাকেন৷ ২০১৬ সালে এই পদে নিয়োগ করেছিলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল৷ মার্চ ২০১৯ সালে সেই পদের মেয়াদ শেষ হয়ে য়ায়৷  এর পর আইন ছাড়াই বিনা অধিকারে কেউ পদে বসেছে, এটা সবচেয়ে বড় রসিকতা৷’’ 

আরও পড়ুন- প্রসব যন্ত্রণা সত্ত্বেও অন্তঃসত্ত্বাকে ফেরাল হাসপাতাল, পরে রাস্তাই প্রসব

অন্যদিকে রাজ্যপালকে একহাত নেন ব্রাত্য বসু৷ তিনি বলেন, মানুষের মৌলিক অধিকারের উপর ভিত্তি করেই সংবিধান তৈরি৷ সেই সংবিধানের বা মানুষের মর্যাদা কী ভাবে ক্ষুন্ন করা হচ্ছে, উত্তর প্রদেশের হাথরাস তা দেখেছে৷ উত্তর প্রদেশের যে ঘটনা ঘটল, যেখানে নির্যাতিতার বাড়িতে গিয়ে জেলা শাসক হুমকি দিয়ে এলেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যপালের মতামত কী সেটা আগে জানতে চান৷ ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘দুটি তত্ত্বের উপর দাঁড়িয়ে রয়েছে বিজেপি৷ এনকাউন্টার এবং গ্রেফতার৷ মহিলাদের ক্ষেত্রে নির্যাতন এবং ধর্ষণ৷ এই সংস্কৃতিই বিজেপি বাংলায় আনতে চায়, সে কথাই আগাম বলে গেলেন রাজ্যপাল৷’’ তিনি নিজের পদকে নৈরাজ্যপাল করে তুলছেন বলেও তোপ দাগেন ব্রাত্য৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

4 × 3 =