রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে, গুণ্ডারাজ আর চলবে না, হুঙ্কার নাড্ডার

রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে, গুণ্ডারাজ আর চলবে না, হুঙ্কার নাড্ডার

ডায়মন্ডহারবার: বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার সভার আগেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ডায়মন্ডহারবার৷ তাঁর কনভয় লক্ষ্য করে চলল ইটবৃষ্টি৷ ইঁটের আঘাতে আহত হন বহু বিজেপি নেতা-কর্মী৷ এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেন তিনি৷ নিন্দা জানান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ও৷ এদিনের সভায় রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে সুর চড়ান নাড্ডা৷ বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি বলেন, তৃণমূলের কর্মী আর তাদের গুণ্ডারা গণতন্ত্রের টুটি চেপে ধরতে কোনও খামতি রাখেনি৷ কিন্তু এই গুণ্ডারাজ, অরজকতা আর বেশি দিন চলবে না৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের পতন হবেই৷ রাজ্যে পদ্ম ফুটতে বাধ্য৷  

আরও পড়ুন- ‘চাল চোর’ তৃণমূলকে ‘কাটমানি’ খোঁচা নাড্ডার, ‘দুর্নীতি’ নিয়ে হুঁশিয়ারি!

তিনি বলেন, জঙ্গলরাজ শব্দটি বিনা কারণে ব্যবহার করা হয়নি৷ কৈলাস বিজয়বর্গীয়, রাহুল সিনহাদের গাড়ির অবস্থা দেখলেই সবকিছু স্পষ্ট হয়ে যাবে৷ বুলেটপ্রুফ গাড়ি থাকায় তিনি রক্ষা পেয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন৷ নাড্ডা বলেন, একটা গাড়িও নেই যার উপর হামলা করা হয়নি৷ রাজ্যের এই গুণ্ডারাজকে পরাস্ত করেই পদ্ম ফোটানোর ডাক দেন তিনি৷ তাঁর কথায়, বিপক্ষকে পিষ্ট করার যে মানসিকতা নেওয়া হয়েছে, সেই মানসিকতাকে পিষ্ট করার জন্য গণতন্ত্রকে আহ্বাব জানাচ্ছি৷ বাংলা এক সময় সভ্যতা, সংস্কৃতির জন্য পরিচিত৷ কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কাজ করেছেন এবং যে ভাবে উনি সরকার চালাচ্ছেন তাতে বাংলার মাথা নত হয়ে যাচ্ছে৷ বাংলাকে ফের সবার উপরে নিয়ে আসতে হবে৷ সোনার বাংলা গড়ে তুলতে হবে৷ 

নাম না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকেও আঙুল তোলেন তিনি৷ নাড্ডা বলেন,এটা সেই ডায়মন্ডহারবার যেখানে জ্যোতির্ময়জি নেতৃত্ব দিয়েছিলেন৷ আর এখানকার সাংসদকে সংসদে দেখাই যায় না৷ এটা গণতন্ত্রের জন্য লজ্জা৷ রাজ্যে পুলিশ-প্রশাসনের রাজনীতিকরণ করা হচ্ছে৷ রাজ্যে প্রশাসন বলে কোনও বস্তুই নেই৷ আইন-শৃঙ্খলা সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে৷ কেন্দ্রীয় নিরাপত্তবাহিনী না থাকলে বাংলায় ঘোরাফেরা করাও মুশকিল হয়ে যেত৷ তাঁর হুঙ্কার, নির্বাচনের প্রস্তুতি শুরু করে দাও৷ ডায়মন্ডহারবারেও আমরা পদ্ম ফোটাব৷ 

আরও পড়ুন- ডায়মন্ডহারবারে সভার আগে নাড্ডার কনভয়ে হামলা, আহত একাধিক বিজেপি নেতা

এদিন জেপি নাড্ডার কনভয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে৷ এর পিছনে তৃণমূলকেই দায়ী করেছে বিজেপি৷ সেই দাবি খারিজ করে সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, নাড্ডার কনভয় যাওয়ার সময় নানা রকম ভিডিয়ো করে উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা চলছিল৷ ডায়মন্ডহারবারে যে ঘটনা ঘটেছে তা পরিকল্পনা মাফিক ঘটানো হয়েছে৷ উনি অনেক ভুল কথা বলছেন৷ মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনে গিয়ে মানুষকে প্ররোচনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন৷ পরিকল্পিত ভাবে পাবলিসিটি নেওয়ার জন্যই এটা করা হচ্ছে৷ রাজনীতির নামে শান্তিপ্রিয় বঙ্গে অশান্তি তৈরি করার চেষ্টা করা হচ্ছে৷ তৃণমূলের নামে মিথ্যে প্রচার করা হচ্ছে৷ নাড্ডার এই উদ্দেশ্য প্রণোদিত বক্তব্যের নিন্দা করছি৷ এই ঘটনায় তৃণমূলের কেউ যুক্ত থাকলে তাঁকেও শাস্তি দেওয়া হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন৷ অন্যদিকে, রাজ্য পুলিশের দাবি ডায়মন্ডহারবারে নাড্ডার কনভয়ে কোনও হামলাই ঘটেনি৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

five × 2 =