রায়গঞ্জ: উত্তর দিনাজপুরের রায়পুরের সভা থেকে ফের বহিরাগতের জিগির তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তেপ দেগে বললেন, বহিরাগত গুণ্ডা এনে বাংলা দখলের স্বপ্ন দেখছে বিজেপি৷ কিন্তু বাংলা শাসন করবে বাংলাই৷
আরও পড়ুন- কেউ নিজেকে বড় নেতা ভাবলে সেটা ভুল! রায়গঞ্জ থেকে দলবদলুদের নিশানা মমতার
এদিনের সভা থেকে সুর চড়িয়ে মমতা বলেন, ‘‘আমরা থাকতে বহিরাগত গুণ্ডারা এসে বাংলা শাসন করতে পারবে না৷ এই গুণ্ডাদের দিয়ে ভোটের আগে কোথাও কোথাও ভয় দেখানো হবে৷ কেন্দ্রীয় পুলিশ এজেন্সি দিয়েও ভয় দেখানোর চেষ্টা চলবে৷ যা প্রতিবার করা হয়ে থাকে৷ কিন্তু এই গুণ্ডাদের ভয় পাবেন না৷’’ তিনি বলেন, চারিদিক থেকে টাকা দেওয়ার খবর আসছে৷ এমনকী সাংবাদিক, ক্যামেরাম্যানদের হাতে টাকা দেওয়ার চেষ্টা তলছে৷ যদিও তারা তা প্রত্যাখ্যান করেছেন৷ কিন্তু প্রশ্ন হল এত টাকা কোথা থেকে এল? যে বিজেপি এক সময় খেতে পেত না৷ একটি বিড়ি কিনে তিনবার টানত৷ তাঁদের হাতেই এখন টাকার ছড়াছড়ি৷
বিজেপি মানুষের টাকা চুরি করে বলেও তোপ দাগেন তিনি৷ মমতা বলেন, ‘‘আমরা বলি, হরে কৃষ্ণ হরে হরে তৃণমূল ঘরে ঘরে৷ আর ওঁরা বলে হরে কৃষ্ণ হরে হরে, ঘরে ঘরে টাকা চুরি করে৷’’ তাঁর সুপারিশ, ‘‘টাকা দিলেই চুপচাপ নিয়ে নিন৷ সেই টাকায় ভালো করে মাংস ভাত খেয়ে ভোট দিন তৃণমূলকে৷ কারণ ওঁরা যে টাকা বিলোচ্ছে তা আপনাদেরই টাকা৷ ওঁদের একটা ভোটও দেবেন না৷ বরং স্লোগান তুলুন, ‘‘চাই না চাই না বিজেপি’কে চাই না। পঁচা, দাঙ্গাবাজ, লুটেরা, মা বোনেদের অসম্মানকারী বিজেপি’কে চাই না৷ বাইরের গুণ্ডা চাই না৷’’
আরও পড়ুন- কিছু ভুঁইফোড় নেতা আখের গুছিয়ে পালিয়েছে, ইঁদুর থেকে বাঘ হয়ে ঋষিকেই খেতে আসছে, খোঁচা মমতার!
তাঁর হুঙ্কার, ‘‘দিল্লিকে বাংলা দখল করেত দেব না আমরা৷ ওঁদের রুখতে সারা জীবন আন্দোলন করেছি৷ আন্দোলন করে জাব৷ মমতা জানান, তাঁর মাথা থেকে পা পর্যন্ত সর্বাঙ্গে চোট রয়েছে৷ বহুবার তাঁর উপর আঘাত হানা হয়েছে৷ ১৫-২০টা অপারেশন হয়েছে৷ আর এখন সিপিএম-কংগ্রেস আর বিজেপি এক হয়েছে বলে তাঁর অভিযোগ৷ তাঁর কথায়, ‘‘জগাই-মাধাই-গদাই (সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি) তিনটেকে দিতে হবে বিদায়৷’’