কলকাতা: ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্প ঘিরে রাজ্যজুড়ে উন্মাদনা৷ ‘দুয়ারে সরকার’-এর প্রতিটি ক্যাম্পে লম্বা লাইন৷ ফর্ম নেওয়ার হুড়োহুড়ি৷ সেই সুযোগ নিতে চাইছেন অনকে অসাধু ব্যক্তি৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ, কোনও জালিয়াতি নয়৷ দুর্নীতি রুখতে জারি হয়েছে ইউনিক নম্বরের ব্যবস্থা৷ এর পরেও ফাঁক-ফোকড় গলে চলছে দুর্নীতি৷ কিন্তু সেই ফাঁকটুকুও রাখতে নারাজ রাজ্য৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে নয়া নির্দেশিকা জারি করল নবান্ন৷
আরও পড়ুন- ইস্টবেঙ্গল নিয়ে পদক্ষেপ মমতার, বৈঠকে ডাকা হল ক্লাব-ইনভেস্টরদের
এদিন নবান্ন থেকে স্পষ্ট জানানো হয়, এই প্রকল্পের সঙ্গে কোনও পঞ্চায়েত সদস্য বা ক্লাব যুক্ত থাকতে পারবে না৷ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের ফর্ম পূরণের জন্য প্রয়োজনে কন্যাশ্রী সেলফ হেল্প গ্রুপ অথবা কলেজ ছাত্রছাত্রীদের কাজে লাগানো হবে৷ এমনটাই জানিয়েছেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী৷ তিনি আরও জানিয়েছেন, গোটা প্রক্রিয়ার উপর নজর থাকবে জেলা শাসকদের৷ লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সমস্যা মেটাতে আশা, অঙ্গনওয়াড়ি ও স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের কাজে লাগানোর কথাও বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সরকারি প্রকল্পে এর আগেও বহু ভুয়ো আবেদন জমা পড়েছে৷ জাল নথি দেখিয়ে ফায়দা তোলা হয়েছে৷ এবারও প্রচুর ভুয়ো আবেদন জমা পড়ছে৷ মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই বিষয়ে নালিশ জানিয়েছেন খোদ বিজেপি নেতা মনোজ টিগ্গা৷ আদিবাসী উন্নয়ন নিয়ে নবান্নের বৈঠকে এই অভিযোগ তোলেন বিজেপি নেতা৷ এর পরেই মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ, কোথায় ভুয়ো সার্টিফিকেট জমা পড়ছে তা খুঁজে বার করতে হবে৷
আরও পড়ুন- দুয়ারে সরকারের শিবিরে রাজনৈতিক নেতা এবং জনপ্রতিনিধি! পদক্ষেপ ক্ষুব্ধ নবান্নের
পাশাপাশি বিভিন্ন জায়গায় টাকার বিনিময়ে ফর্ম বিলির খবরও আসছে৷ সেই বিষয়ে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জেলা শাসকদের৷ সেই সঙ্গে রাজ্যের মানুষকেও সতর্ক করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী৷ কেউ যেন অর্থের বিনিময়ে ফর্ম না কেনেন৷ দুয়ারে সরকার ক্যাম্প থেকে বিনা মূল্যে এই ফর্ম পাওয়া যাবে৷ এই বিষয়টির উপরেও কড়া নজর রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷