কলকাতা: রাজ্য সরকার চলতি দুয়ারে সরকারের বিভিন্ন শিবিরে রাজনৈতিক নেতা এবং জনপ্রতিনিধিদের উপস্থিতি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। শুরু হওয়ার পরে গত এক সপ্তাহেও বিভিন্ন জায়গায় দুয়ারে সরকারের শিবিরে ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে সংঘটিত না হওয়ায় মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদি দুই চব্বিশ পরগনা, হুগলি, মুর্শিদাবাদের মত বেশ কয়েকটি জেলার জেলাশাসককে ভর্ৎসনা করেছেন বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- ঘাটতি মেটাতে বাজার থেকে ভ্যাকসিন সিরিঞ্জ কিনল কলকাতা পুরসভা
শিবিরের বর্তমান অবস্থা নিয়ে তিনি জেলাশাসকদের সঙ্গে ভার্চুয়াল পর্যালোচনা বৈঠক করেন। শিবিরে শুধুমাত্র সরকারি আধিকারিক ও সাধারণ মানুষ ছাড়া অন্য কেউ যুক্ত হতে পারবে না বলে সরকারি নির্দেশিকা থাকলেও অনেক জায়গা থেকেই বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতা এবং স্থানীয় ক্লাবের সদস্যরা শিবিরে প্রবেশ করে সাধারণ মানুষকে বিভিন্ন প্রকল্পের ফরম পূরণ করে দিচ্ছে বলে অভিযোগ ওঠে। তিনি দ্রুত এইসব ঘটনা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত কর্মী বা ক্লাব সদস্যদের শিবিরের বাইরে রাখার কথা বলেছেন তিনি। প্রয়োজনে শিবিরগুলোতে লোকবল বাড়াতে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা এবং আশা কর্মীদের যুক্ত করার কথা বলা হয়েছে।
এদিকে, লোধা ও শবর সম্প্রদায়ের সামগ্রিক উন্নয়নে রাজ্য সরকার আলাদা সেল তৈরি করছে। যেখানে তাদের পশুপালন ঔষধি গাছ লাগানো মৌমাছি পালন সহ আত্মনির্ভর করার বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। সোমবার আদিবাসী উন্নয়ন পর্ষদের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি জঙ্গলমহল এলাকায় বহুদিনের জলের সমস্যা দূর করা নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে খবর। মুখ্যমন্ত্রী জানান, ২০২৫ সালের মধ্যে জঙ্গলমহলের সব বাড়িতে নল বাহিত জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।