কলকাতা: বিজেপি’র অন্দরে বিক্ষোভের আগুন৷ মতুয়া ক্ষোভে এক সঙ্গে দলের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন পাঁচ বিধায়ক৷ এবার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বেরিয়ে এলেন বাঁকুড়ার চার বিধায়ক৷ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন ওন্দার বিধায়ক অমরনাথ শাখা, সোনামুখীর বিধায়ক দিবাকর ঘরামি, ইন্দাসের বিধায়ক নির্মল ধাড়া এবং বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা৷
আরও পড়ুন- শিলিগুড়ি পুরভোটের নেতৃত্ব দিক অশোক, রাজি করাতে ফোন বুদ্ধের
বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বঙ্গ বিজেপি সভাপতি হওয়ার পর থেকেই রাজ্য কমিটিতে বদল এসেছে৷ বদলে গিয়েছে একাধিক জেলার সভাপতি৷ বদলে ফেলা হয়েছে জেলা কমিটির খোলনলচে৷ কিন্তু কোনও স্তরেই নেই মতুয়া প্রতিনিধি৷ গত বিধানসভা ভোটে মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক মজবুত থাকার জন্যেই বিজেপি’র ঝুলিতে একাধিক আসন এসেছিল৷ কিন্তু মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক মজবুত হওয়ার পরেও জেলা বা রাজ্য কমিটিতে মতুয়াদের কোনও প্রতিনিধি না থাকায় ক্ষোভ বাড়তে থাকে৷
দলের রাজ্য কমিটিতে উত্তর ২৪ পরগনার কোনও মতুয়া প্রতিনিধি না থাকায় হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান ওই জেলার পাঁচ বিজেপি বিধায়ক। তাঁরা হলেন, গাইঘাটায় বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া, হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী এবং কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায়। প্রসঙ্গত, এই পাঁচ বিধায়কই মতুয়া সম্প্রদায়ের৷
উত্তর ২৪ পরগণায় ফাটল ধরার পর ধাক্কা এল বাঁকুড়ায়৷ সুব্রত ঠাকুররা কেন গ্রুপ ছাড়ল তার নির্দিষ্ট কারণ থাকলেও বাঁকুড়ার বিধায়করা কেন গ্রুপ ছাড়লেন তা নিয়ে একাধিক তথ্য উঠে আসছে৷ অনেকেই বলছেন, বাঁকুড়ার নয়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতিকে নিয়ে অনেকেরই আপত্তি রয়েছে৷ অনেকে আবার বলছেন, এই পাঁচ বিধায়ক বিজেপি বিধায়কদের গ্রুপ ছাড়েননি৷ তাঁরা ‘সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ’ ছেড়েছেন৷