শিলিগুড়ি পুরভোটের নেতৃত্ব দিক অশোক, রাজি করাতে ফোন বুদ্ধের

শিলিগুড়ি পুরভোটের নেতৃত্ব দিক অশোক, রাজি করাতে ফোন বুদ্ধের

4bad1d0b889998a49d1b392a0d630079

কলকাতা: শিলিগুড়িতে পুরভোটে নেতৃত্ব দিক প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য৷ ফোন করে সেই পরামর্শই দিলেন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য৷ জানা গিয়েছে রবিবার সকালে অশোকবাবুকে ফোন করেন তিনি৷ বুদ্ধবাবু তাঁকে শিলিগুড়ি পুরভোটের দায়িত্ব নেওয়ার কথা বলেন৷ শুধু দায়িত্ব নয়, দলকে জেতানোর কথাও বলেন তিনি৷ 

আরও পড়ুন- উৎসবের মরশুমে উদ্বেগ, কলকাতায় ২০০ পার আক্রান্ত, মৃত ৫

প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই প্রাক্তন বিধায়ক তথা পুরমন্ত্রী অশোক ভট্টাচার্য জানিয়েছিলেন, পুরভোটে আর লড়তে চান না তিনি৷ এ বার বিধানসভা ভোটেও জিততে পারেননি৷ দলের হয়ে কাজ করলেও আগের মতো আর উদ্যোগ নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়তেও দেখা যাচ্ছে না তাঁকে৷ বয়সনীতির জেরে জেলা কমিটি থেকেও বাদ পড়েছেন৷ সম্প্রতি তাঁর স্ত্রীও প্রয়াত হয়েছেন৷ সব মিলিয়ে এ বার আর পুরভোটে লড়তে চাননি প্রাক্তন মেয়র৷ বরং ঘোষণা করেন ‘নন-প্লেয়িং ক্যাপ্টেন’ হিসেবে পরামর্শদাতার ভূমিকায় থাকবেন৷ কিন্তু শিলিগুড়ি এখনও তাঁর বিকল্প মুখ খুঁজে পায়নি৷ সে কারণেই ফের তাঁকে রাজি করানোর চেষ্টা চলছে৷ দলীয় সূত্রে খবর, তিনি রাজি হলে পুরনো ৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকেই তাঁকে প্রার্থী করতে পারে বাম শিবির৷ 

তবে অশোকবাবু এই প্রস্তাবে রাজি হবেন না কিনা, তা এখনও স্পষ্ট নয়৷ এই পরিস্থিতিতে তাঁকে রাজি করাতে ফোন করেন স্বয়ং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য৷ তিনি অশোকবাবুকে ফোন করায় বিষয়টি অন্য মাত্রা পেল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷ অশোকবাবুকে শিলিগুড়ি পুরভোটের দায়িত্ব সঁপা হলে, নিশ্চিত ভাবেই তা তাৎপর্যপূর্ণ হবে৷ 

জানা গিয়েছে শিলিগুড়ি পুরনিগম ভোটে  তৃণমূলের মুখ হতে চলেছেন গৌতম দেব৷ শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষকে সামনে রেখে এগোবে বিজেপি। এমতাবস্থায় বামেদের মুখ কে হবে, তা নিয়ে দলের মধ্যে জোর চর্চা চলছে৷ সেখানে বারবার উঠে এসেছে অশোক ভট্টাচার্যের নাম৷ 

এ প্রসঙ্গে অশোক ভট্টাচার্য জানান, ‘‘বুদ্ধবাবু আমাকে টেলিফোন করেছিলেন। উনি বলেছেন, শিলিগুড়িতে আবার আমাদের জিততে হবে৷ উনি কেমন আছেন সেই খোঁজ খবর নিয়েছি। বাকিটা দলীয় আলোচনা হয়েছে।’’ উল্লেখ্য, সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফে  কলকাতা হাই কোর্টে জানানো হয়েছে, শিলিগুড়ি-সহ রাজ্যের বাকি পুর-নিগমগুলিতে আগামী ২২ জানুয়ারি ভোট করার চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে৷ 

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *