আগরতলা: উত্তপ্ত ত্রিপুরার রাজনীতি৷ গ্রেফতার পাঁচ তৃণমূল কর্মী৷ ১৬ অগাস্ট পর্যন্ত তাঁদের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আমবাসা আদালত৷ বিজেপি’র মিছিলে হামলার অভিযোগে পাঁচ তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়৷ অভিযোগ, এই নেতারাই আশ্রয় দিয়েছিলেন দেবাংশু, জয়াদের৷
আরও পড়ুন- ‘উজ্জ্বলা ২’-এর সূচনা, গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে বড় ঘোষণা মোদীর
শনিবার দুপুরে আমবাসার সংঘর্ষের ঘটনায় এই পাঁচ তৃণমূল কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ অভিযোগ, দলুবাড়ি থেকে আমবাসার মাঝামাঝি এলাকায় ঠিক যে জায়গায় দেবাংশুরা পথ অবরোধে বসেছিলেন, সেখানেই বিজেপি’র মিছিলে এই পাঁচ তৃণমূল কর্মী হামলা চালান৷ যদিও তৃণমূলের বক্তব্য, সম্পূর্ণ মিথ্যে মামলায় তাঁদের কর্মীদের ফাঁসানো হয়েছে৷ ধৃত তৃণমূল নেতা উত্তম দলুইয়ের বাড়িতেই আক্রান্ত হওয়ার পর দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত ও সুদীপ রাহারা আশ্রয় নিয়েছিলেন৷ সেখানেই তাঁদের প্রাথমিক শুশ্রূষা করা হয়৷ তৃণমূলের দাবি, উত্তম জলুইয়ের বাড়িতে দেবাংশুরা আশ্রয় নিলেও বাকি নেতারা তাঁদের শুশ্রূষায় সাহায্য করেছিল৷ সেই কারণেই তাঁদের মিথ্যে মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে৷
ধৃতদের তৃণমূল কর্মীদের আজ আদালতের পেশ করার পর তাঁদের নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়েছিল পুলিশ৷ কিন্তু আদালত তাঁদের ১৬ তারিখ পর্যন্ত জেল হেফাজত দেয়৷ এদিকে আজ সকালেই ত্রিপুরায় এসে পৌঁছন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক৷ তিনি আগরতলা থেকে সরাসরি আমবাসায় চলে আসেন৷ তিনি এই পাঁচ কর্মীর জামিনের চেষ্টাও করেন৷
এ প্রসঙ্গে পুলিশ অফিসার বলেন, মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ ১২০ বি, ৩০৭, ৩৯২, ৪২৭ ধারায় গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূল কর্মীরা৷ তাঁদের জেলা হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ তিনি জানান, শনিবারের ঘটনায় গতকাল এই পাঁচ তৃণমূল নেতাকে গ্রেফতার করা হয়৷ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তাঁর বিজেপি’র ব়্যালিতে হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে৷ ৫ জনের নামে এফআইআর করা হয়েছে৷ তবে এখনও ২ জন পলাতক৷