‘দেশে থাকার অধিকার নেই!’, ডিএ আন্দোলনাকারীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ফিরহাদ

‘দেশে থাকার অধিকার নেই!’, ডিএ আন্দোলনাকারীদের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ফিরহাদ

কলকাতা: বিগত ১৬ দিন ধরে বকেয়া ডিএ-র দাবিতে আন্দোলন চালাচ্ছে রাজ্য সরকারি কর্মীরা৷ এরই মধ্যে গতকাল আন্দোলনের ১৫তম দিন থেকে আমরণ অনশনে বসেছেন তিনজন সরকারি কর্মী৷ এই পরিস্থিতিতে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশে তাঁর মন্তব্য, আদালতের উপর ভরসা রাখতে না পারলে দেশে থাকারও অধিকার নেই।

আরও পড়ুন- ‘তিহারে গেলে লুচি-ডাল, কচি পাঁঠার ঝোল বেরিয়ে যাবে…’, বীরভূমে দাঁড়িয়ে কেষ্টকে খোঁচা শুভেন্দুর

উল্লেখ্য, বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আন্দোলন চালাচ্ছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের যৌথ সংগ্রাম মঞ্চের সদস্যরা। শহিদ মিনার ময়দানে প্রতীকী অনশন ও লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভ চালাচ্ছেন তাঁরা। এর আগে অবস্থান বিক্ষোভের জন্য জায়গা পাওয়া নিয়ে সরকারি বাধার মুখে পড়েছিলেন সরকারি কর্মচারীরা৷ বাধ্য হয়ে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হন৷ এর পর আদালতের নির্দেশ মেনে শুরু হয় আন্দোলন। কিন্তু এখনও দাবি মেটেনি৷ এরই মাঝে যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের তরফে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, উপরাষ্ট্রপতি জাগদীপ ধনকড় এবং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে চিঠি পাঠানো হয়েছে৷

এই পরিস্থিতির মধ্যে ফিরহাদ হাকিমের বক্তব্য, ‘আদালতে যাব, আবার অনশনও করব। তা আবার হয় নাকি? আদালতে তো মামলা চলছে। তার মানে আন্দোলনকারীদের আদালতের উপর কোনও ভরসা নেই। যাঁদের আদালতের উপর ভরসা নেই, তাদের ভারতে থাকারও অধিকার নেই।’ এর আগে আন্দোলনরত কর্মীদের সিপিএমের লোক বলে দাবি করেছিলেন তিনি।   

মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের এই মন্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চর নেতৃত্ব৷ শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক কিংকর অধিকারী  বলেন, ‘‘মন্ত্রীর জ্ঞানের দৈন্যতা দেখে আমরা লজ্জিত৷ জেনে রাখুন, সুপ্রিমকোর্টে মামলা চলছে পঞ্চম বেতন কমিশনের (রোপা-২০০৯) বকেয়া নিয়ে। ষষ্ঠ বেতন কমিশনের বকেয়া প্রায় ৩৯ শতাংশ মহার্ঘ ভাতা নিয়ে আদালতে কোনও মামলা নেই। সে ব্যাপারে রাজ্য সরকার নিরুত্তর কেন? এ তাঁর জ্ঞানের দৈনতা নাকি চালাকি করে মানুষের দৃষ্টিভঙ্গিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার কৌশল? অবিলম্বে আপাতত ষষ্ঠ বেতন কমিশনের বকেয়া ৩৯ শতাংশ ডিএ মিটিয়ে দিয়ে শিক্ষক-সরকারি কর্মচারীসহ সমস্ত ডিএ প্রাপক কর্মচারীদের মর্যাদা এবং অধিকার ফিরিয়ে দিক সরকার।’’