‘তিহারে গেলে লুচি-ডাল, কচি পাঁঠার ঝোল বেরিয়ে যাবে…’, বীরভূমে দাঁড়িয়ে কেষ্টকে খোঁচা শুভেন্দুর

‘তিহারে গেলে লুচি-ডাল, কচি পাঁঠার ঝোল বেরিয়ে যাবে…’, বীরভূমে দাঁড়িয়ে কেষ্টকে খোঁচা শুভেন্দুর

কলকাতা: অনুব্রতহীন বীরভূম৷ কেষ্টকে ছাড়াই লাল মাটির দেশে গিয়ে সভা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতার অনুপস্থিতিতে বীরভূমের দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন তিনি। বীরভূমে গিয়ে মমতা সভা করার কয়েক দিনের মধ্যেই সেখানে সভা করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বীরভূমের মাটি থেকে অনুব্রতকে বিঁধলেন তিনি৷ শুধু তাই নয়,  পঞ্চায়েতে ‘পালাবদল’-এর ডাক দিলেন বিরোধী দলনেতা।

আরও পড়ুন- ‘উপাচার্যের রাজনীতির সঙ্গে মতবিরোধ, তাই উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে হেনস্তা’ প্রতীচী বিতর্কে অমর্ত্য সেন

এদিন নাম না করেই অনুব্রতকে তোপ দাগেন শুভেন্দু৷ তিনি বলেন, “কেউ একজন বলত না চড়াম চড়াম, গুড় বাতাসা উন্নয়ন দাঁড়িয়ে রয়েছে। তিনি এখন কোথায়? হারিয়ে গিয়েছেন। এখন লটকে আছেন। অপেক্ষা করুন। তিহারে গেলে অষ্টমীর দিন লুচি ডাল, দশমীর দিন কচি পাঁঠার ঝোল সব বেরিয়ে যাবে। শুধু তিহার পর্যন্ত যাওয়ার অপেক্ষা।” আবাস যোজনা নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও এদিন তোপ দাগেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। তিনি বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আজও উত্তরবঙ্গে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনাকে বাংলার আবাস যোজনা বলে উল্লেখ করেছেন। ওটা প্রধানমন্ত্রীর আবাস যোজনা। বীরভূমে কেন্দ্রের দেওয়া শৌচালয় অনেকেই পাননি। জবকার্ড হোল্ডারদের ফলের বাগান তৈরি করার জন্য ১৫ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সেটাও পায়নি। সেই অর্থ লুঠ করা হয়েছে। আমি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নন্দীগ্রামে হারিয়েছি৷ আপনারাও নিজের পঞ্চায়েতে চোরেদের হারাতে পারবেন।”