সাতসকালে কলকাতায় বিধ্বংসী আগুনের ঘটনা! ভষ্মীভূত তপসিয়ার কারখানা

সাতসকালে কলকাতায় বিধ্বংসী আগুনের ঘটনা! ভষ্মীভূত তপসিয়ার কারখানা

কলকাতা: আবারও শহর কলকাতায় বিধ্বংসী আগুন লাগার ঘটনা ঘটলো। এবার আগুন লেগেছে তপসিয়ার রবারের জুতো তৈরির কারখানায়। সূত্রের খবর এদিন ভোর চারটে নাগাদ আগুন লাগে ওই কারখানায়। নিমেষেই ভষ্মীভূত হয়ে যায় গোটা কারখানার একাংশ। ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে ১০ টি দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। যদিও স্থানীয় বাসিন্দাদের আতঙ্ক গ্রাস করে রয়েছে এখনো।

জানা গিয়েছে রবারের মতো দাহ্য পদার্থ মজুর থাকায় মুহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এলাকা ঘিঞ্জি হওয়ায় দমকল কর্মীদের আগুন নেভাতে কিছুটা সমস্যা হয়, কিন্তু কমপক্ষে ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে তারা। আগুন নিয়ন্ত্রণে নায়ানা গেলে আরো বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো বলে আশঙ্কা। কিভাবে আগুন লেগেছে সেই তদন্ত করতে গিয়ে প্রাথমিক অনুমান, শর্ট সার্কিটের কারণে এই ঘটনা ঘটেছে। দমকল এলাকায় পৌঁছে সবচেয়ে আগে কারখানা লাগোয়া বাড়িগুলি থেকে বাসিন্দাদের বের করে নিয়ে আসে। এর ফলে ঘটনা বড় আকার ধারণ করেনি। 

আরও পড়ুন- শাসক দলের মুখে বুথ দখলের অভিযোগ! ফিরছে শেষ পঞ্চায়েত নির্বাচনের স্মৃতি? 

উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুরে জ্যোতি সিনেমার কাছে লেনিন সরণীতে আগুন লাগে। গত ৩১ মার্চ সাতসকালে স্ট্র্যান্ড রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। তার আগে গত ৮ মার্চ স্ট্র্যান্ড রোডে ভয়াবহ আগুন লাগে।তারও আগে শহর কলকাতার দুই বস্তিতে আগুন লাগে এবং পুড়ে ছাই হয় বেশ কয়েকটি বস্তি। সম্প্রতি, রেলভবনের বহুতলে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মৃত্যু হয় নয় জনের। মর্মান্তিক এই ঘটনায় কেন্দ্রীয় সরকার এবং রাজ্য সরকার ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছিল। ঘটনাস্থলে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রেলের উপর আঙ্গুল তুলেছিলেন। দাবি করেছিলেন, রেলভবনের মানচিত্র সঠিক সময় না মেলার জন্য উদ্ধারকাজে সময় লেগেছে। তিনি উল্লেখ করেন, রেলের জায়গা হওয়া সত্ত্বেও তাদের তরফ থেকে কেউ এগিয়ে আসেনি সাহায্যে। অন্যদিকে রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল দাবি করেছিলেন যে, রেল যথেষ্ট সহায়তা করেছে। এদিকে বিজেপি তরফে গাফিলতির অভিযোগ তুলে আক্রমণ করা হয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

17 − 10 =