কলকাতা: করোনাভাইরাস পরিস্থিতি আতঙ্ক এখনো পর্যন্ত কাটেনি কারণ তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা রয়েছে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই। আবার এও সতর্কবাণী দেওয়া হয়েছে যে এই বছর ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসও মারাত্মক আকার ধারণ করতে পারে। মানে একই সময়ে দুটি মহামারী দেখতে হতে পারে সাধারণ মানুষকে। এই আতঙ্ক কিছু কম ছিল না কিন্তু এর মধ্যেই আবার একাধিক জ্বরের আতঙ্ক গ্রাস করেছে রাজ্যবাসীকে। ‘অজানা জ্বর’, এই শব্দটি এখন বাংলার মানুষের কাছে পরিচিতি পাচ্ছে তার কারণ উত্তরবঙ্গ প্রায় ছেয়ে গিয়েছে এই রোগে। ইতিমধ্যে একাধিক শিশুর মৃত্যু পর্যন্ত ঘটেছে কিন্তু এই জ্বর কেন হচ্ছে তার হদিশ এখনও মেলেনি। তাহলে কি তৃতীয় ঢেউ শুরু হয়ে গিয়েছে বাংলায়? নাকি এই জ্বরের উৎস অন্য কিছু? এইসব প্রশ্ন মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে।
আরও পড়ুন- ফের দুষ্কৃতী তাণ্ডব ভাটপাড়ায়, পড়ল বোমা, জখম ২
আসলে এই সময়ে একাধিক জ্বরের প্রভাব দেখা দিচ্ছে বাংলায়। করোনা ভাইরাসের কারণে জ্বর তো রয়েছেই, এর সঙ্গে ধরা পড়ছে স্ক্রাব টাইফাস, ডেঙ্গি, ইনফ্লুয়েঞ্জা, সোয়াইন ফ্লু’র মত রোগ। সব মিলিয়ে বাংলার সার্বিক চিত্রটা খুবই আতঙ্কের। আরো বড় চিন্তার ব্যাপার হল, এই সব রোগের প্রাথমিক লক্ষণ প্রায় এক। তাই কেউ যদি জ্বরে আক্রান্ত হয় তাহলে প্রথমে বোঝা সম্ভব হচ্ছে না যে সে কোন রোগে আক্রান্ত হয়েছে। তাই চিকিৎসায় দেরি হচ্ছে। ফলে আতঙ্ক আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। যদিও চিকিৎসক মহল বলছে যে, প্রাথমিকভাবে কোন রোগ হচ্ছে সেটা ধরতে পারা যাচ্ছে না বলে এইভাবে ‘অজানা জ্বর’ বলা হচ্ছে। আদতে এগুলো সব উপরিউক্ত রোগের মধ্যে একটার লক্ষণ। তাই তাদের পরামর্শ, যেভাবে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ থেকে বাঁচতে মানুষ সচেতন থাকছে, ঠিক সেভাবেই মশা, শুয়োর থেকে নিজেদের দূরে রাখতে হবে যাতে কোনও ভাবেই ডেঙ্গি বা সোয়াইন ফ্লু হতে না পারে। বেশি করে জল খেতে হবে এবং রাত্রে মশারি টাঙিয়ে শুতে হবে বলে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। আবার এও বলা হচ্ছে, জ্বর হলে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার দেরি করা চলবে না।
আরও পড়ুন- BREAKING: পুজোর আগেও চলবে না লোকাল, উৎসবেও বাড়ল বিধিনিষিধের মেয়াদ
ইতিমধ্যে আবার বাংলার করোনা গ্রাফ কিছুটা হলেও বাড়তে শুরু করেছে আগের থেকে। কলকাতা এবং উত্তর ২৪ পরগনা, এই দুই জেলায় ক্রমশ বাড়ছে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। শেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ৭৪৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ১৪২ জন উত্তর ২৪ পরগনার! সংক্রমণের নিরিখে আজ প্রথম স্থানেই এই জেলা। এর পরেই রয়েছে কলকাতা। সেখানে আক্রান্ত ১৩০ জন।