কলকাতা: ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে রাজ্যের সরকারের ওপর ইতিমধ্যেই ব্যাপক চাপ দিতে শুরু করেছে বিজেপি। জোরাল হচ্ছে সিবিআই তদন্তের দাবি। গতকাল আবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, সাংসদ সুভাষ সরকার, অশোক দিন্দা-সহ একাধিক বিধায়ককে সঙ্গে নিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে হাজির হন। এদিন এই ঘটনায় তদন্ত চেয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনকে চিঠি লিখলেন শুভেন্দু অধিকারী। টিকা নিয়ে রাজনীতির অভিযোগ তুলেছেন তিনি।
জানা গিয়েছে এই চিঠিতে শুভেন্দু জানিয়েছেন যে, পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকারের অনীহায় টিকাকরণ কর্মসূচি অনেক পিছিয়ে পড়ছে অন্যান্য রাজ্যের তুলনায়। এদিকে টিকা নিয়ে ব্যাপক রাজনীতি শুরু হয়েছে বাংলায়। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, ওই টিকা শিবির থেকে যাঁরা আধার কার্ড দেখিয়ে টিকা নিয়েছেন, তাঁরা কেউই টিকার শংসাপত্র পাননি। এদিকে পুরোটাই হয়েছে স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশের নজরদারিতে। ইতিমধ্যেই জানা গিয়েছে যে, কসবার ওই জাল টিকা কেন্দ্র থেকে জলে মেশানো কোনও অন্য টিকা দেওয়া হয়েছে। আদতে কী দেওয়া হয়েছে তা স্পষ্ট নয়। তাই এই প্রেক্ষিতে সঠিক তদন্ত হওয়া জরুরী। গতকালও এই বিষয় নিয়ে রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তুলে শুভেন্দু বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গে টিকাকরণ নিয়ে একটা বড় ষড়যন্ত্র চলছে। এই ঘটনা তার প্রমাণ। এবার যদি কোনও অঘটন ঘটে যেত তখন বলা হত যে প্রধানমন্ত্রীর পাঠানো ভ্যাকসিনের জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। এই মহামারির সময়ও তৃণমূল সরকার সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে ছেলে খেলা করছে, এমনই বক্তব্য তাঁর। ভ্যাকসিনের ইস্যু জাতীয় ইস্যু, তাই এই ঘটনায় অবিলম্বে সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছে বিজেপি। তাদের আরও বক্তব্য, কেন্দ্রীয় সরকার আর প্রধানমন্ত্রীকে অপমান করার জন্য এই ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। যারা যারা এই ঘটনায় যুক্ত তাদের কঠোর শাস্তি চাই।
আরও পড়ুন: রাজ্যেও আক্রমণ ‘ডেল্টা’র, মোট আক্রান্তের নিরিখে বাংলা চতুর্থ
এদিকে আবার টুইট করে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ফিরহাদ হাকিম এবং অতীন ঘোষের বিরুদ্ধে অতিমারি আইনে মামলা চান। তাঁর কথায়, ভুয়ো টিকা কাণ্ডে যদি একজন নাগরিকের মৃত্যু হয় তাহলে তার দায় নিতে হবে এই বিধায়কদের। বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস হল চাল চোর, আমফানের টাকা চোর, আর এখন ভ্যাকসিন চুরি করেছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা দিয়ে কসবা কাণ্ডের তদন্ত হওয়া প্রয়োজন রয়েছে। একইসঙ্গে তিনি আরো বলেন, কেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, সাংসদ শান্তনু সেন এবং বিধায়ক অতীন ঘোষের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে না? যদি একজন নাগরিকের মৃত্যু হয় তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসের এই বিধায়করা দায়ী হবেন, বলে দাবি করেছেন তিনি।