কলকাতা: গরু পাচার মামলায় ভুয়ো অ্যাকাউন্ট নিয়ে শুক্রবার বড় মাপের তথ্য ইতিমধ্যেই দিয়েছে সিবিআই। আদালতে তারা জানিয়েছে, আরও ১১৫টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে৷ কিন্তু এত অ্যাকাউন্ট খুলতে নথি এল কোথা থেকে? কাদের এই নথি? তা নিয়ে বিস্ফোরক তথ্য সামনে এসেছে। গোয়েন্দা সংস্থার দাবি, রাজ্যের ‘স্বাস্থ্যসাথী’ প্রকল্পের জন্য জমা নেওয়া আধার কার্ড ব্যবহার করে ‘ভুয়ো’ অ্যাকাউন্টগুলি খোলা হয়েছে। এই সংক্রান্ত যে সব নথি পঞ্চায়েত অফিসে জমা হয়েছিল তা থেকেই খোলা হয়েছে এই ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলি।
আরও পড়ুন- একশো দিনের কাজের টাকা না দিলেই দুর্বার আন্দোলন, কেন্দ্রকে হুঁশিয়ারি মমতার
কয়েক সপ্তাহ আগেই বীরভূম কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের সিউড়ি শাখায় ৩০০-র বেশি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের তথ্য আদালতে জমা দিয়েছিল সিবিআই। শুক্রবার আরও ১১৫টি এমন অ্যাকাউন্টের তথ্য সামনে আসে। সেই প্রেক্ষিতেই নথি সম্পর্কিত এই তথ্য আদালতে জানায় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। তাঁদের দাবি, ওই ভুয়ো অ্যাকাউন্টগুলি থেকে চারটি নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্টে নিয়মিত টাকা পাঠানো হয়েছে। কিন্তু ঠিক কখন এই এতগুলি অ্যাকাউন্ট খোলা হয়? তার অনুমতিই বা আসে কী ভাবে? সিবিআইয়ের বক্তব্য, করোনা অতিমারির সময়ে এই কাজ করা হয়েছিল এবং ব্যাঙ্ক ম্যানেজার ‘চাপে পড়ে’ সইয়ের কাজ করেন।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”বীরভূমের দায়িত্বে তৃণমূল নেত্রী! সাহায্য করবেন ববি! Mamata Banerjee to take charge of Birbhum” width=”560″>
এদিকে শুক্রবারই আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত গরু পাচার মামলায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে আরও ১৪ দিনের জন্য ফের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে বীরভূমের এই তৃণমূল নেতাকে। সেই দিনই ওই মামলার পরবর্তী শুনানি। তবে আসানসোল আদালতে না আবেদন করলেও দিল্লি হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করেছেন অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবী। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি এই মামলার শুনানি দিল্লি হাইকোর্টে।