কলকাতা: ২০১৬ সালের প্রাথমিকের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অ্যাপ্টিটিড টেস্ট হয়েছিল কিনা তা জানতে উদ্যোগী হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। ৪টি জেলা থেকে ৪০ জন ইন্টারভিউয়ারকে তলব করা হয়েছিল বয়ান রেকর্ডের জন্য। সেই অনুযায়ী বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় শুক্রবার এই কাজই করছিলেন। কিন্তু হুগলি জেলার এক উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের ইংরেজির শিক্ষককে ইংরেজিতে কিছু প্রশ্ন করায় গণ্ডগোল বাঁধল! শিক্ষক বিচারপতিকে বাংলায় প্রশ্ন করতে অনুরোধ করেন।
আরও পড়ুন- মাধ্যমিকে অঙ্কে ভয়? পরীক্ষার খাতায় কী ভাবে উত্তর লিখতে হবে? পুরো নম্বর পাওয়ার কৌশলই বা কী?
চক ডাস্টার হাতে ক্লাসরুমে কী ভাবে পড়াবেন, তার পরীক্ষা দিতে হয় প্রাথমিকে নিয়োগের অ্যাপ্টিটিউড টেস্টে। এটাই নিয়ম। কিন্তু পরীক্ষার্থীদের একাংশ অভিযোগ করেছিল যে, তারা অনেকেই এই টেস্ট দেননি বা তাদের দিতে দেওয়া হয়নি। পাশাপাশি কেউ আবার ইন্টারভিউয়ে নিজের নাম-বাবার নাম জানিয়েই ছাড় পেয়েছিলেন। তাই যারা ওই টেস্ট দিয়েছিল তাদেরই ডেকে পাঠিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। এমনই এক ইংরেজির শিক্ষক বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে বাংলায় প্রশ্ন করতে বলেন, যা শুনে ক্ষুব্ধ হন বিচারপতি। বিস্ময় প্রকাশ করে তিনি তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন যে এতদিন কী ভাবে ক্লাস করাচ্ছেন তিনি।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”অর্পিতার পর এবার ‘রহস্যময়ী’ হৈমন্তী! After Arpita, now Haimanti’s name crops up” width=”835″>
আসলে এই ধরনের বিষয় হলে দোভাষীর ব্যবস্থা থাকে। এক্ষেত্রেও ছিল। অনেকেই ইংরেজি ভাষায় অভ্যস্থ থাকে না তাই এমন ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু জানা গিয়েছে, ইংরেজির ওই শিক্ষক এই ব্যবস্থা নিতে চাননি, উলটে যখন তাঁকে ইংরেজিতে প্রশ্ন করা হয় তিনি বাংলায় বলার অনুরোধ করেন বিচারপতিকে। তাতেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রেগে যান। শুক্রবার সকালে শুনানির সময় আদালতে গিয়েছিলেন ওই শিক্ষক। শুনানির শুরু হতেই তাঁকে দেখে রেগে যান বিচারপতি। এজলাস থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন। না বেরলে গ্রেফতারিরও হুঁশিয়ারি দেন। শেষে ওই শিক্ষক চলে যান।