অবাধ ভোট করাতে সব ব্যবস্থা, স্পষ্ট করল নির্বাচন কমিশন

অবাধ ভোট করাতে সব ব্যবস্থা, স্পষ্ট করল নির্বাচন কমিশন

কলকাতা: আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি চারটি পুর নিগমের ভোটে সব বুথ উত্তেজনা প্রবণ। তবে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশন সব ধরনের ব্যবস্থা নিয়েছে নিয়েছে বলে তারা জানিয়েছে। এই নির্বাচনে মোট ৯ হাজার রাজ্য পুলিশ মোতায়েন থাকবে। এর মধ্যে বুথের নিরাপত্তা থাকবে সাড়ে ৪ হাজার পুলিশ। এছাড়াও থাকবে কুইক রেসপন্স টিম, নাকা চেকিং রেডিও ফ্লায়িং স্কোয়াড। এই চার পুর নিগমের জন্য ১২ জন পর্যবেক্ষক এবং একজন বিশেষ পর্যবেক্ষক থাকছেন। উল্লেখ্য, এই চার পুর নিগম হল বিধাননগর, আসানসোল, চন্দননগর ও শিলিগুড়ি। মোট প্রার্থী রয়েছেন ৯৫৩ জন।

আরও পড়ুন- মমতার নির্দেশ অমান্য! অরূপকে সরিয়ে কোর্অর্ডিনেটরের দায়িত্বে কুণাল ঘোষ ও সওকত মোল্লা

এদিকে আজই এই নির্বাচন ইস্যুতে স্বস্তি পেয়েছে নির্বাচন কমিশন। তাদের বিরুদ্ধে যে আদালত অবমাননার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের হয়েছিল তা খারিজ হয়ে গিয়েছে। আদালতের বক্তব্য, ভোট পিছোনো যায় কিনা সেটা দেখার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তাই কমিশনের বিরুদ্ধে আদালত অবমামনার কোনও বিষয় খাটে না। আসলে কলকাতা হাইকোর্ট জানিয়েছিল ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ আসন্ন পুরভোট পিছিয়ে দেওয়া যায় কিনা। কিন্তু কমিশন ৩ সপ্তাহের জন্য ভোট পিছিয়ে দিয়েছে। এতে নির্বাচন কমিশন আদালত অবমাননা করেছে এমন অভিযোগ তুলে করা হয়েছিল মামলা। তবে  ৩ সপ্তাহের জন্য নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে আদালত অবমাননার করেনি কমিশন। এটাই স্পষ্ট করা হয়েছে আদালতের তরফে।

জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখ চার কেন্দ্রের পুরভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই ভোট পিছিয়ে দেওয়া হয় তিন সপ্তাহ। কেন হঠাৎ তিন সপ্তাহ পিছনো হল ভোট, কোন যুক্তিতে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। প্রশ্ন তুলেই রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে অবমাননার নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। উল্লেখ্য, কোভিড পরিস্থিতি কারণে হাইকোর্টের পরামর্শের পর আসানসোল, বিধাননগর, শিলিগুড়ি, চন্দননগর পুরনিগমের ভোট ২২ জানুয়ারি পরিবর্তে পিছিয়ে স্থির হয় ১২ ফেব্রুয়ারী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *