কলকাতা: চতুর্থ দফা ভোটে রাজ্যের মানুষ দেখেছে রক্তের হোলি খেলা৷ কোচবিহারের শীতলকুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে বলি হয়েছে চারটি তাজা প্রাণ৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে তীব্র রাজনৈতিক চাপানউতোর৷ শীতলকুচির ঘটনার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই দায়ী করেছেন বিরোধীরা৷ পাল্টা বিজেপি’ক দুষেছে তৃণমূল৷ এরই মধ্যে চরম বিতর্ক উস্কে সোমবার রাহুল সিংহা বলেন, সেদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর ৮ জনকে গুলি করে মারা উচিত ছিল! কেন চার জনকে মারল, তার জন্য তাদের শোকজ করা উচিত।
আরও পড়ুন- বেনজির ভাবে ২৪ ঘণ্টা মমতার প্রচারে নিষেধাজ্ঞা, প্রতিবাদে ধরনায় তৃণমূল সুপ্রিমো
রাহুল সিনহার এই মন্তব্যের পরই ঝড় ওঠে রাজনীতির আঙিনায়৷ কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শীতলকুচি নিয়ে তাঁর এই মন্তব্যের জেরেই এবার ৪৮ ঘণ্টার জন্য রাহুল সিনহার প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করল নির্বাচন কমিশন৷ আজ দুপুর ১২টা থেকে ১৫ এপ্রিল দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোনও সভা করতে পারবেন না বিজেপি প্রার্থী৷ প্রসঙ্গত, রাহুল সিনহার মূল বক্তব্য ছিল, ভোটের লাইনে থাকা ভোটারকে যারা গুলি করে সেদিন মেরেছে তাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনী সেদিন একেবারে ঠিক কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেন বিজেপি প্রার্থী।
আরও পড়ুন- ‘দুয়ারে রেশন’ ব্যবসার ফাঁদ, মাসে ১ কোটি কামাই ’ তীব্র কটাক্ষ মিঠুনের, পাল্টা দিলেন মমতা
এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, চার জনকে কেন, সেদিন কেন্দ্রীয় বাহিনীর উচিত ছিল আট জনকে মারার। কেন মারেনি সেই জন্য তাদের শোকজ করা উচিত! রাহুল সিনহার স্পষ্ট কথা, যারা গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করবে তাদের সঙ্গে এমনটাই করা উচিত। উল্লেখ্য গতকাল বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বরানগরের বিজেপি প্রার্থী পর্ণো মিত্রর সমর্থনে জনসভা করে বলেছিলেন, বাংলায় দুষ্টু ছেলেরা বুঝে গিয়েছে যে বাহিনীর গুলির কত জোর।