কফির কাপে চুমুক দিতে দিতেই চলর চাকরি বিক্রির ডিল! চার হোটেলের ফুটেজ চাইল ED

কলকাতা: নিয়োগ দুর্নীতির পরতে পরতে রহস্যের জাল৷ পার্থ চট্টোপাধ্যায়, অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের সূত্র ধরে খুলছে একের পর এক জট৷ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, এই চক্রের ‘মাস্টার মাইন্ড’ কুন্তল ঘোষ৷ কুন্তল বলছেন, আরও অনেকের নাম৷ তবে এই জাল যে সুদূরপ্রসারীতা অনেকদিন আগেই বুঝে গিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসাররা৷ একাধিক এজেন্টের মাধ্যমে বিভিন্ন হাত ঘুরে নিয়োগ দুর্নীতির টাকা পৌঁছত মাথাদের কাছে৷ সেই সূ্ত্র ধরেই এবার কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার চারটি অভিজাত হোটেলের কফিশপের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চাইল ইডি৷ জানা গিয়েছে, ওই সব হোটেলের ক্যাফেটেরিয়ায় কফির কাপে চুমুক দিতে দিতেই ছকে নেওয়া হত নিয়োগ দুর্নীতির ব্লুপ্রিন্ট৷ চলত টাকা লেনদেন নিয়ে বৈঠক৷
আরও পড়ুন- কৌস্তভের বিরুদ্ধে তদন্ত আপাতত স্থগিত, পুলিশকে দ্রুত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ
ইডি সূত্রে খবর, জেরায় কুন্তল এবং শান্তনু উভয়েই ওই কফিশপগুলিতে একাধিক বৈঠকের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন৷ তবে তদন্তকারী অফিসারদের অনুমান, শুধু এই দু’জনই নন, ওই সমস্ত বৈঠকে আসতেন অন্যান্যরাও৷ তাঁরা কারা? সে বিষয়ে স্পষ্ট তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করতেই বেশ কয়েকটি তারিখ উল্লেখ করে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ চেয়ে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।
২০১৭ সালের পর থেকে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকার বিভিন্ন সময়ে এইসব অভিজাত হোটেলের কফিশপে বসে চাকরির ডিল নিয়ে বৈঠক করতেন শান্তনু-কুন্তলরা৷ জানা গিয়েছে, ডিল হত আলিপুরের একটি নামী হোটেলও। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, কখনও কখনও নাকি তাঁদের সঙ্গে কফি টেবিলে যোগ দিতেন দু’একজন মহিলাও৷ তাঁরা কারা সে ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত হতে পারেননি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী অফিসাররা। তবে তাঁরা প্রথম থেকে যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্রের কথা বলে আসছেন, সে ব্যাপারে নিশ্চিত হতেই এই সকল অভিজাত হোটেলের ফুটেজ চেয়ে পাঠানো হয়েছে৷ জানা গিয়েছে, এই তালিকায় রয়েছে নিউটাউন, মধ্যকলকাতা, দক্ষিণ কলকাতার অভিজাত হোটেলের নাম৷ নিউ টাউনের যে হোটেলের কথা বলা হচ্ছে, সেখানে কুন্তলের নিয়মিত যাতায়াত ছিল বলেও জানতে পেরেছেন ইডি-র অফিসাররা। শুধু তাই নয়, ওই হোটেলে আবার বিপুল প্রভাব-প্রতিপত্তি ছিল হুগলির একটি পুরসভার চেয়ারম্যানের ৷ এই সব হোটেলের ফুটেজে কারা কারা নদরে আসেন, সেটাই দেখার৷