কলকাতা: নিজের দিল্লি যাওয়া আটকাতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন গরু পাচার মামলায় গ্রেফতার তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডল। কিন্তু ইডিও এত সহজে ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নয়। এদিন আদালতে বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর এজলাসে অনুব্রতের আইনজীবী জানান, আসানসোলে তাঁর মক্কেলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তারা চন কেন্দ্র বা রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক দিয়ে পরীক্ষা করানো হোক। আর ১৭ মার্চ পর্যন্ত অন্তত দিল্লি নিয়ে যাওয়ার নির্দেশে স্থগিতাদেশ থাকুক। তবে ইডি এক্ষেত্রে অন্য দাবি করেছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এদিন জানায়, প্রয়োজনে দিল্লি এইমসে চিকিৎসার বন্দোবস্ত হবে অনুব্রত মণ্ডলের।
আরও পড়ুন- ভারতের প্রতিবেশী দেশগুলিকে কেন সাহায্য করছে চিন? উদ্বেগে ওয়াশিংটন
আজকের শুনানিতে অনুব্রত পক্ষের আইনজীবী বলেন, ইডি দিল্লি হাইকোর্টে আশ্বাস দিয়েছিল এখনই কোনও পদক্ষেপ করবে না। আর ১৭ মার্চ দুটো আবেদনের শুনানি আছে দিল্লি হাইকোর্টে। তাই ওইদিন পর্যন্ত অনুব্রতকে দিল্লি নিয়ে যাওয়ার নির্দেশে স্থগিতাদেশ চাইছেন আইনজীবী। এই প্রেক্ষিতে বিচারপতি মন্তব্য করেন, মৌখিক বক্তব্যের ভিত্তিতে এখন এই আবেদন করা হচ্ছে। অনুব্রতর আইনজীবীকে তাঁর প্রশ্ন, আপনারা চার মাসের বেশি শুধু মৌখিক আশ্বাসের ওপরে ভিত্তি করে বসে থাকলেন? তিনি বলেন, এই কোর্টের একাধিক উদাহরণ আছে যেখানে পুলিশ আশ্বাস দিয়েছে কিছু করব না বলে, সেটাও আপনারা কোর্টকে লিখিত করতে বলেছেন। আর এখানে এমন একটা গরম মামলায় এতদিন চুপ। এর পাল্টা অনুব্রতর আইনজীবী জানান, তারা পেশাগত সৌজন্যের ওপর ভরসা করেছিলেন।
” style=”border: 0px; overflow: hidden”” title=”ত্রিপুরায় মুখ্যমন্ত্রী কী মানিকই থাকবেন, নাকি অন্য কেউ? Who will be CM of Tripura?” width=”835″>
এছাড়া এদিন বিচারপতি অনুব্রতর আইনজীবীর কাছে জানতে চান, দিল্লির রাউস এভিনিউ আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে সেটা ভুল কোথায়? এখানে এই আদালত কী করবে? পাল্টা তিনি জানিয়েছেন, ২১ ডিসেম্বর ইডি যে মেল জেলকে পাঠিয়েছিল, সেই মেল পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হোক। প্রয়োজনে আগামী সোমবারই চিকিৎসকরা রিপোর্ট দিন আদালতে, সেই ভাবে নির্দেশ দিক আদালত। সেই পর্যন্ত স্থগিত রাখুক এই নির্দেশ। তবে ইডির তরফে বলা হচ্ছে, দিল্লি হাইকোর্টে এই একই ইস্যুতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এটা ফোরাম শপিং ছাড়া আর কিছু নয়। একই বিষয়ে ঘুরে ঘুরে অর্ডার পাওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এই আদালত থেকে এই মামলা তুলে নেওয়ার চিঠি দেওয়া হয়েছে দিল্লি হাইকোর্টে। দাবি দিল্লি ও কলকাতা হাইকোর্টে কপি পেস্ট করে মামলা করা হয়েছে। যাবতীয় নথিও একই। অনুব্রত মণ্ডলের মামলার শুনানি শেষে বিচারপতি বিবেক চৌধুরীর বিশেষ বেঞ্চ রায়দান স্থগিত রেখেছে।